বিদেশ থেকে কিভাবে বাংলাদেশে টাকা পাঠাবেন
প্রিয় দর্শক আজকের পর্ব থাকছে প্রবাসীদের নিয়ে। শুধু প্রবাসীরা এই আর্টিক্যাল পড়লে বা দেখলে হবে না। বাংলাদেশে যত ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তাদেরও এই আর্টিক্যাল টি পড়া খুবই প্রয়োজন এই জন্য যে, প্রবাসে প্রায় এক কোটির উপরে ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন এবং বাংলাদেশে যারা রয়েছেন তাদেরকে রেমিটেন্স প্রদান করার মাধ্যমে ফ্যামেলি, মেনটেনেন্স বা অন্যান্য দেশের বিভিন্ন ব্যয় সংক্রান্ত আর্থিক কার্যাবলী
সম্পন্ন হয়ে থাকে। সেজন্য বাংলাদেশে যারা এই রেমিটেন্স গ্রহণ করবেন তাদেরও এই তথ্যগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশের সকল ব্যক্তি যদি এই তথ্যগুলো জানেন, তাহলে প্রবাসে থাকা যারা রেমিটেন্স প্রদান করে থাকেন তাদের প্রসেস যদি জানা না থাকে, তাহলে এই ফোনের মাধ্যমে এই প্রসেস টি বলার কারণে বাংলাদেশে বৈধপথে টাকা প্রেরণ করা খুবই সহজ হবে। সেজন্য বাংলাদেশে
যখন রেমিটেন্স প্রদান করবেন তখন দেখা যাবে দুইটি মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রদান করা হয়। একটি হচ্ছে ফিলিপাইন বেইজড রেমিটেন্স প্রদান এবং আরেকটি রয়েছে অ্যাকাউন্ট বেইজড রেমিটেন্স রেমিট্যান্স প্রদান। সেখানে ব্যাংকের একাউন্টে যদি রেমিট্যান্স প্রদান করতে হয়, তখন ওই বিদেশে থাকা এজেন্সি বা ব্যাংকে গিয়ে কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। তার মধ্যে পাঁচটি তথ্য প্রদান করলেই আপনি খুব সহজে
ব্যাংকের একাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার বা জমা করতে পারবেন। তার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার এবং ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডারের নাম এবং ব্যাংকের নাম, ব্যাংকের ব্রাঞ্চের নাম পাশাপাশি ব্যাংকের রাউটিং নাম্বার। এই পাঁচটি তথ্যের মধ্যে অনেকাংশে অধিকাংশ ব্যক্তি দু'একটি তথ্য মিস হওয়ার কারণে প্রাথমিকভাবে কিছু হিসাবের মধ্যে পড়তে পারেন। সেজন্য এই তথ্যগুলো সঠিক
কিভাবে দিতে হবে সেই বিশ্লেষণ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। অর্থাৎ প্রবাস থেকে টাকা প্রেরণের জন্য কোন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজে দ্রুত বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রেরণ করতে পারবেন সেই তথ্যগুলো জানতে পারবেন। আর যদি ভুল তথ্য প্রদান করেন তাহলে টাকাটি আবার রিটার্ন চলে যাবে। সে জন্য মাঝখানে দু'একদিন আপনার এই টাকাটি
থেকে গেল। সেই হিসাবে আপনার সময় এবং শ্রম উভয়ই লস হবে। সেজন্য একটু সতর্ক থাকলে যিনি টাকা পাঠাবেন এবং যিনি রিসিভ করবেন উভয়ের জন্য বেশ সহজ লভ্য হয়। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যখন প্রবাসী ভাই প্রবাস থেকে টাকা প্রদান করবেন দেশের যে কোন ব্যাংকের ব্যাংক একাউন্টে, তখন ঐ প্রবাসী ব্যক্তি যে কোন ব্যাংকের শাখায় গিয়ে বা যেকোন এজেন্সিতে গিয়ে যে টাকা
বাংলাদেশে পাঠাবেন, সেই টাকাটি এজেন্সিকে প্রদান করবেন। এবং ডলার থেকে টাকায় রূপান্তর হওয়ার পরে ঐ টাকাটি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ করা যায়। এই প্রসেসের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা আসে। কিন্তু সেখানে যখন টাকা প্রদান করবেন তখন যিনি টাকা পাঠাবেন উনার নাম, ঠিকানা এবং যে তথ্য প্রয়োজন সেই এজেন্সিকে দিবেন।
কিন্তু বাংলাদেশের যে একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই পাঁচটি তথ্য সঠিকভাবে দিলে আপনার টাকাটি আবার রিটার্ন যাবে না। সরাসরি টাকা সময়মতো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যখন টাকা পৌঁছবে সেখানে ওয়ার্কিং ডে এক থেকে দুই দিন লাগতে পারে। কিছু কিছু ব্যাংকে ওয়ার্কিং ডে তিন দিন লাগতে পারে। সেগুলো এজেন্সির উপর ডিপেন্ড করে।
কিছু কিছু এজেন্সি রয়েছে খুব দ্রুত টাকা প্রেরণ করা যায়। সেই এজেন্সিগুলোর তালিকা দেখে নিবেন। তাছাড়া বাংলাদেশের যে ব্যাংক গুলো রয়েছে প্রত্যেকটা ব্যাংক বিশ থেকে ত্রিশটি এজেন্সির সাথে চুক্তি রয়েছে। সেই এজেন্সির মাধ্যমে তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রেরণ করা যায়।
এখন আপনি দেখে নিতে পারেন যে, ব্যাংকগুলো যে এজেন্সির সাথে চুক্তি রয়েছে সেই এজেন্সিতে গিয়ে ঐ ব্যাংকে টাকা প্রেরণ করতে হবে। সেখানে আপনি যে ব্যাংকে টাকা সারবেন সেখানে গ্রাহককে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন বা ঐ গ্রাহক যে ব্যাংকের যে শাখায় একাউন্ট করেছেন সেই শাখার যে
কোন ব্যাংকের সাপোর্ট নিয়ে কোন কোন এজেন্সির মাধ্যমে এই ব্যাংকের টাকা ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ করা যায়, সেই লিস্ট দেয়ার জন্য। যদি একবার সেই লিস্টটি গ্রহণ করে নেন, তখন দেখা যাবে যে আপনি ওই লিস্ট দেখে যেকোনো সময় দেশে টাকা প্রেরণ করতে পারলেন। যে তথ্যটি সাবমিট করতে হয় সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম এবং ব্রাঞ্চের নাম।
যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম এবং ব্রাঞ্চের নাম সঠিকভাবে দেন, তখন ওই গ্রাহকের নাম দিতে হবে এবং গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার। সেখানে কিছু কিছু ব্যাংকের তেরোটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার থাকে। কোন ব্যাংকের সত্তরটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার থাকে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।
এই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম যদি সঠিকভাবে না দেন, তাহলে ম্যাচ না করার কারণে টাকাটি বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে যে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স প্রবেশ করবে সেখানে ওই টাকাটি আবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে লক্ষ্য রাখবেন ব্রাঞ্চের নামের পাশাপাশি রাউটিং নাম্বার দেন। তাহলে আরো খুব সহজে টাকাটি প্রেরণ করা সম্ভব।
সেখানে নির্ভুলভাবে টাকা প্রেরণ করা যায়। রাউটিং নাম্বার আপনার চেকের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ প্রবাস থেকে যিনি টাকা পাঠাবেন। ঐ চেক দেখে চেকে বিভিন্ন ইনফরমেশন রয়েছে। সেই ইনফরমেশন থেকে আপনি টাকাটি প্রেরণ করতে পারেন। শুধু প্রবাস থেকে নয়, সেটি বাংলাদেশের অন্য ব্যাংক থেকে যখন টাকা পাঠাতে হয়। সেইম এই পাঁচটি তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কোনোভাবে ফান্ড ট্রান্সফার করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি ব্যাংকে থাকা যে একাউন্টের যে মোবাইল নাম্বার রয়েছে সেই নাম্বারটিও দিতে পারেন। সেগুলো ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এই পাঁচটি তথ্য খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে চারটি তথ্য অতি প্রয়োজন। যে ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চের নাম এবং ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডারের নাম এবং ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার।
যখন প্রবাস থেকে টাকা প্রেরণ করা হয়ে যাবে ব্যাংক একাউন্টে, তখন ওই এজেন্সিতে একটা রিসিট মিলে সেই রিসিট টি দেশে থাকা গ্রাহককে ফটো তুলে দিতে পারেন, তখন ওই রিপোর্টে একচুয়াল ডেট থাকে যে ওই ডেটে কত টাকা প্রেরণ করা আছে। সেই রিসিট দেখে ব্যাংকার সহজে বুঝতে পারেন
টাকাটি প্রেরণ করা হয়েছে কি না এবং প্রেরণ করার পরে কতদিনের মধ্যে টাকা আসতে পারে সাজেস্ট করতে পারেন। সেখানে কিছু কিছু গ্রাহক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যান যে, বৃহস্পতিবারে টাকা পাঠানোর পরে দেখা যায় যে শুক্র শনিবার বন্ধ আছে। এদিকে, রবিবার যদি সরকারি কোনও ছুটি থাকে তখন দেখা যায় যে চারদিন হয়ে গেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে ওয়ার্কিং ডে এক দিন রয়েছে।
সে হিসাবে ওয়ার্কিং ডে দুই দিন নতুবা তিন দিন ওয়েট করতে পারেন। সেখানে প্রসেস হয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা প্রবেশ করবে। সেই সাথে দেখতে পারেন আপনার মোবাইলে কোনো এসএমএস আসছে কি না। যদি মোবাইলে এসএমএস চলে আসে তাহলে বুঝতে পারবেন টাকাটি আপনার একাউন্টে ঢুকে গেছে। আপনি সঙ্গে সঙ্গে টাকা চেকের মাধ্যমে বা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে নতুবা
এজেন্ট শাখায় যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সেখানে ফিঙ্গারের মাধ্যমে টাকাটি উত্তোলন করতে পারবেন। আবার গ্রাহকের যদি ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপস ইনস্টল করা থাকে তাহলে সেই অ্যাপস এ ঢুকেও টাকা চেক করে নিতে পারেন। সাধারণত বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে
যদি রেমিটেন্স প্রবেশ করে তাহলে টু পয়েন্ট ফাইভ পার্সেন্ট বর্তমানে ইনসেনটিভ বোনাস হিসেবে দেয়া হয়। অর্থাৎ প্রনোদনা বাবদ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফোর পার্সেন্ট প্রনোদনা রয়েছে। সেগুলো ভিন্ন হিসাব। সচরাচর প্রবাসীরা এই আড়াই পার্সেন্ট প্রনোদনা পেয়ে থাকেন।
কিন্তু আপনি বিজনেস একাউন্টে বা স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্টে রেমিটেন্স আনা থেকে বিরত থাকতে পারেন। অর্থাৎ সেভিংস একাউন্টে রেমিটেন্স আনানো খুবই সহজ এবং নিরাপদ। এ থেকে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন। দেখা যায় অনেকেই ডিপিএস একাউন্টে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেন বা এফডিআর একাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেন। অর্থাৎ আপনার এফডিআর নাম্বারে যদি ভুলবশত
রেমিটেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে তাহলে টাকাটি ব্যাংক হতে পারে। আবার কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যে গ্রাহকের নাম এবং গ্রাহকের একাউন্ট নম্বর ঠিক আছে। অন্য ব্যাংকের নাম দিয়ে দিচ্ছেন। তখন ওই টাকা আবার ব্যাক হয়ে থাকে এবং যখন প্রবাস থেকে রেমিটেন্স প্রদান করা হয়। দেশের ব্যাংক একাউন্টে ঢোকার আগ পর্যন্ত ওই রেমিটেন্স আবার ব্যাক করার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ যিনি টাকা
পাঠিয়েছেন তিনি কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে ঐ ভুল তথ্যটি সংশোধন করে টাকা পাঠাতে পারবেন। তাছাড়া ওই টাকা আবার রিটার্নও নিতে পারবেন যদি ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ না করে। সাধারণত ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে তা সংশোধনের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রদান করার সুযোগ থাকে। বিদায় নিচ্ছি, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। এস আর সিদ্দিক একাডেমির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। যারা এখনো সাবস্ক্রাইব করেন নাই। সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। আর যারা সাবস্ক্রাইব করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। গুডবাই।
আজকের এই আর্টিক্যালটি এই পর্যন্তই আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি আজকের এই আর্টিক্যালটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিক্যালটি আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ আসছি নতুন কোন আর্টিক্যাল নিয়ে সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url