ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা ও ছেলেদের যত কষ্টের কথা

হ্যালো বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আরেকটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হলাম কেমন আছেন আশা করি অনেক ভাল আছেন আজকের আর্টিক্যালটি হল যারা প্রেমে ব্যর্থ হয়েছেন অথবা ভালোবেসে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের জন্য কিছু কষ্টের স্ট্যাটাস আমি আপনাদেরকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করব। এমন ছন্দ যা আপনার প্রেমিকাকে মুগ্ধ করে তুলবেতো চলুন শুরু করা যাকপোষ্টসূচিঃ

ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস

ছেড়ে যাবে। যাও মুক্তি পেতে চাও। ওকে সেটাও দিলাম। কিন্তু অনুরোধ একটাই ছেড়ে যাওয়ার জন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে যেও না। তোমার আমাকে আর ভালো লাগে না। সেটা বলে গেলেই পারতে। শুধুশুধু এসব হাস্যকর অজুহাত কেন দেখাও? তুমি আমার বদনাম করবে? করো।

তাতে একটু খোঁজ রেখো না। আসলে সত্যিটা তুমিও জানো যে আমার ভালোবাসায় কোনো কমতি ছিল না। তোমার টাইম পাস করা লাগলে অনেক কিছু ছিল। শুধুশুধু কেন আমাকে তোমার টাইম পাসের জন্য বেছে নিলে? আমি তো তোমার কোনো ক্ষতি করিনি। 

তাহলে আমার সাথেই কেন তোমাকে এমনটা করতে হল। সবশেষে একটা কথা বলতে চাই, কাউকে কষ্ট দিয়ে সুখে থাকবে সেটা ভেবে থাকলে ভুল ভাবছ। কষ্ট তুমিও পাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। না, এটা অভিশাপ না। এটা সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সুনিপুণ বিচার। তবুও চাই। তুমি ভালো থেকো।

 জীবনে অসাধারণ কাউকে চেওনা। এমন সাধারণ একজনকে চাও যার কাছে তুমি অসাধারণ হয়ে থাকবে। আর যার ভালোবাসা হবে শুধু তোমার জন্য। জীবনে হয়তো তুমি অনেক কিছু পাবে আবার অনেক কিছু হারাবে। কিন্তু কিছু পাওয়ার জন্য তোমার জীবনের এমন কাউকে হারিও না যে তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।

ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা

আমি এমন একজনকে ভালোবেসেছি যার মাঝে না আছে আমাকে পাওয়ার ইচ্ছা, আছে আমাকে হারানোর ভয়। তার কোনো চিন্তাই নেই। অথচ তাকে আমি ভালোবাসি। তাকে ঘিরে আমার হাজারও চিন্তা। তার জন্য আমার মায়া হয়। তাকে আমি ভালোবাসি, ভালোবাসি। 

এইজন্য তার জন্য প্রতিনিয়ত আমার চিন্তা হয়। তার কথা ভেবে আমার কতইনা মায়া হয়। কারণ সে আমার ভালোবাসার মানুষ। তার কাছে আমার মূল্য না থাকতেই পারে। যে মানুষ যাকে ভালোবাসে না তার কাছে কোনো মূল্য থাকে না। অতএব সে আমাকে কখনো ভালোবাসেনি।

 তাহলে তার কাছে কেমন করেই বা আমার মায়া থাকবে? অথবা আমার চিন্তা সে কেমন করে করবে? কখনোই না। আমি তাকে ভালোবেসেছিলাম সেটা আমি এখনো বাসি। তার জন্য প্রতিনিয়ত আমার কষ্ট হয়। আজ থেকে বহু বছর কেটে যাবে। কিন্তু তাকে না পাওয়ার তীব্র ইচ্ছা আমার শেষ হবে না। হয়তো তার সাথে আমার দেখা না ই হতে পারে। তবুও তাকে দেখার তৃষ্ণা আমার মিটবে না।

 আমি দেখতে চাই তাকে আমি ভালোবাসতে চাই। কিন্তু সে এটা কখনো বোঝেনি। আমার এই ফিলিংসটা সে কখনো চিন্তাও করেনি যে আমি তাকে এমন ভাবে ভালোবাসতে পারি এমনভাবে প্রতিনিয়ত আমি তাকে চাই না। আমাদের লাইফে যখন কিছু মানুষ চলে আসে হঠাৎ করে প্রিয় হয়ে যায়।

 আর সেই প্রিয় মানুষটাকে ঘিরেই আমরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। অথচ একটিবারও এইটা ভাবি না যে সে আমাদের পারফেক্ট কিনা। তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। একটা সময়ের পর এইটা জানা যায় যে তার কাছে আমার কোনো মূল্য নেই। সে আমাকে কখনো ভালোবাসেনি আর আসবেও না। কিন্তু তার মায়াতে আমরা পড়ে যাই। তার মায়াতে পড়ে গিয়ে আমরা তাকে ভালোবেসে ফেলি। 

অসম্ভব ভালোবাসি যা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেষ হবে না।যেই মানুষটা যাকে ভালবেসেছে সে কি কখনো ভুলে যেতে পারেনি?যে পেরেছে সে ভালোবাসেনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোনো মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে অথবা প্রিয় মানুষটাকে ভুলতে পারবে না।

ইমোশনাল ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস

ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না। বেঁচে থাকে চিরকাল। কখনো গল্প হয়ে, কখনো কবিতা হয়ে আবার কখনো বা স্মৃতি হয়ে। ভালোবাসা কথাটা কে আগে বললো সেটা বিষয় নয়। আসল হলো কে কাকে কতটা ভালোবাসে। একজনের ইচ্ছাতে কখনো সম্পর্ক গড়া সম্ভব না।

 কিন্তু একটা সম্পর্ককে ভেঙে ফেলার জন্যও একজনের ইচ্ছাই যথেষ্ট। আর সেটা হলো অবহেলার মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সূর্যকে ফিরে পেতে বারো ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস সারা জীবন অপেক্ষা করলেও আর ফিরে পাওয়া যায় না। চায়ের কাপে ভেজানো বিস্কুট টাও একটা শিক্ষা দেয়। কারো প্রতি এতটা ডুবে যেও না যাতে নিজেকেই ভেঙে পড়তে হয়।

 মানুষ যখন মিথ্যা স্বপ্ন আর আবেগের মাঝে থাকেই তখন মনে হয় জীবনটা অনেক সহজ। আর যখন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়ায় তখন বোঝা যায় জীবন কতটা কঠিন। তুমি হাসলে সবাই তোমার সাথে হাসবে। কিন্তু তুমি কাঁদলে কেউ তোমার সাথে কাঁদবে না। মানুষকে কাঁদতে হয় একা একা। রিলেশনশিপ যতটাই ঘনিষ্ঠ হোক না কেন তা চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হতে বেশি সময় লাগে না।

 কাছের মানুষ কষ্ট দিলে কষ্টের চেয়ে অবাক লাগে বেশি। বারবার এটাই মনে হয় এই মানুষটা কী করে পারল? অল্পতে কেঁদে ফেলা মানুষের মন খুব সরল হয়। আর এই সরল মনের মানুষ গুলোই জীবনে বেশি কষ্ট পায়। একা থাকাই ভালো। অন্তত কষ্ট দেয়ার মতো কেউ থাকবে না। কাউকে খুব বেশি আপন করতে নেই। কারণ আপন মানুষগুলোই ভালো জানে ঠিক কোথায় আঘাত করতে হয়।

 মন ভালো করার জন্য খুব বেশি কিছুর দরকার হয় না। শুধু প্রিয় মানুষগুলোর একটু হাসিই যথেষ্ট। কাউকে অবহেলা করলে কতটা কষ্ট হয় তা তুমি সেদিনই বুঝবে যেদিন তোমাকে কেউ অবহেলা করবে। কাউকে অতিরিক্ত ভালবেসে গুরুত্ব দিলে সে তোমাকে সস্তা ভেবে অবহেলা করবে। হ্যাঁ, এটাই বাস্তব। রূপে কী আসে যায়?


মনটাই তো আসল। রূপটা তো সারা জীবন থাকবে না। মনটাই থাকে। একটা মানুষ তখনি একা থাকতে পছন্দ করে যখন সে দেখেই সবাই তাকে ঠকায়। অতীতকে ভুলে থাকার একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে বর্তমানকে নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকা। জীবনে যা চাইলেও পাওয়া যায় না তার প্রতি আমাদের আকর্ষণ একটু বেশিই থাকে। যদি অনুভব করো কেউ তোমাকে এড়িয়ে চলছে তবে তাকে আর কখনো বিরক্ত করো না।

মধ্যবিত্ত ছেলেদের ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস

স্বপ্ন অনেক, ক্ষমতা অল্প। কারণ ছেলেটি মধ্যবিত্ত। পকেটে দশ টাকা। আর চোখে হাজারটা স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা। ছেলেটির নাম মধ্যবিত্ত। ঘরের ছেলেদের পকেট ভর্তি টাকা থাকে না। কিন্তু মাথা ভর্তি টেনশন থাকে। মধ্যবিত্ত হয়ে জন্ম নেয়া সহজ কিন্তু বেঁচে থাকা কষ্টের। মধ্যবিত্ত ছেলেদের হাসতে গেলেও ভাবতে হয়। আর কাঁদতে গেলেও ভাবতে হয়।

 মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলো খুব তাড়াতাড়ি সংসারের হাল ধরতে শিখে। কারণ তারা বেড়ে ওঠার সাথে সাথে বাবার কষ্টগুলো হাড়ে হাড়ে টের পায়। যে বয়সে বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘোরাফেরা করে দিন কাটানোর কথা সেই বয়সে তারা কাজের জন্য ঘোরাফেরা করে। 

তারা ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ঘোরার পরিবর্তে ফ্যামিলির চিন্তায় ডিপ্রেশনে ভোগে। কাজ করতে করতে হাতের চামড়া খসে পড়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের উপন্যাসের বই কিনে পড়তে হয় না। মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়ের কাপড় মেয়ে পড়তে পারলেও কোন বাবার কাপড় ছেলে পড়তে পারে না। 

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের প্রতিদিন জীবনের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আগেই তাদের প্রিয় মানুষটার অন্য কারোর সাথে বিয়ে হয়ে যায়। ইচ্ছা অনেক কিন্তু ক্ষমতা অল্প। তারই নাম মধ্যবিত্ত। 

ঘরে জন্ম নিলে বুঝা যায় দুনিয়াটা কতটা কঠিন। বুকে হাজারটা স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার নামই মধ্যবিত্ত। নিজের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো বিসর্জন দেওয়ার নামই মধ্যবিত্ত।

ছেলেদের নিয়ে কিছু কষ্টের কথা

যে ছেলেরা পাশে বসা মেয়েটিকে অন্যায় ঠিক করতে দেখলে আলগোছে চোখ সরিয়ে নেয়, সেই ছেলেগুলি ভীষণ লাজুক হয়। গাদাগাদি বাসের ভিড়ে কোনো এক মেয়েকে দাঁড়ানো দেখলেই নিজের সিটটা ছেড়ে দিয়ে বলে, আপনি বসুন। মেয়েটি একটা কৃতজ্ঞতার হাসি দিয়ে বসে থেকে তারপর তাদের দিকে আর ফিরে তাকায় না। সে ছেলেগুলি চিরকালই অগোচরে থেকে যায়। 

সেই ছেলেগুলো টিউশনের টাকায় একটু একটু করে খরচ করে। মাসের শেষের দিনগুলোতে খাওয়ার বিল দেওয়ার ভয়ে সকালবেলা না খেয়েই ক্লাসে ছোটে। মা ফোন করে জানতে চায়, বাবা দুপুরে কী খেয়েছিস? হাতের শুকনো পাউরুটির দিকে এক পলক তাকিয়ে উত্তর দেয়, বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছ আর ডাল। দুপুরের অসহ্য রোদে খোলা হলে রাস্তায় আধ কিলোমিটার হেঁটে ছেলেটি টিউশনে যায়।

 ক্রিং ক্রিং করে পকেটের ফোনটা জানান দেয়। বাবার ফোন। কপালের ঘাম মুছে মলিন হয়ে থাকা স্যান্ডেলের দিকে তাকিয়ে বলে, হ্যাঁ বাবা ভালো আছে। আমি এতটুকু বয়সের ছেলেগুলো কেন জানি প্রবল আত্মসম্মান বোধ এসে ভর করে। বাড়ি থেকে টাকা চাইতেই লজ্জা পায়।

 এই ছেলেদের একজন করে প্রেমিকা থাকে। হুড খোলা রাস্তায় চলতে চলতে একদিন প্রেমিকার হাত চেপে ধরে এক কাপ মালাই চা। দুজন ভাগ করে খেতে গিয়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে প্রেয়সীর শ্যামবর্ণের বড় বড় চোখের দিকে তাকিয়ে কবিতা রচনা করে। 

তারপর একদিন প্রেমিকার বিয়ের কার্ড হাতে নিয়ে নিষ্ক্রিয় দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। রাতের বেলায় পাশের বন্ধুটি ঘুমালে মুখে বালিশ চেপে চোখের জল ফেলে। পুরুষের কান্নায় কোনো শব্দ থাকতে নেই। বন্ধুদের আড্ডায় প্রথম সিগারেটে টান দিয়ে খসখস করে হেসে ওঠে। 

প্রথম প্রেমের সাথে সাথে তার ফুসফুস প্রথম নিকোটিনের স্বাদ পায়। এরপর বর্তমানের তাড়নায় অতীতকে ভুলে গিয়ে আবার চলতে থাকে। এই পুজোর ছুটিতে বাসে ট্রেনে ঝুঁকিতে এক প্রকার গলিত হয়ে সে মায়ের কোলে পৌঁছায়। মায়ের প্রচণ্ড ধমক খেতে খেতে ব্যাগ থেকে বের করে একটা তাঁতের

 শাড়ি। ভাইয়ের জন্য দুটো টি শার্ট। মায়ের রাগান্বিত চোখের আড়ালে ছেলেটি দেখতে পায় এক টুকরো হাসি ছুটে চলা যান্ত্রিক ছেলেটির কাছে। যা কিনা এক চিলতে সুখ। সেই ছেলেদের মাঝে কয়েক জন লড়াই করতে করতে হয়ে ওঠে বিসিএস ক্যাডার বা মস্ত বড় অফিসার।

আমাদের কথা

 তখন তাদের ঘিরে ইতিহাস রচনা হয়। পাশের বাড়ি বাবা মা ছোট্ট ছেলেটিকে তাকে দেখিয়ে বলে, ঐ যে দেখছিস, কালো সানগ্লাস পরা মস্ত বড় কালো গাড়ি নিয়ে এলো। তোকে ঠিক তার মতো হতে হবে। লড়াই করতে করতে হেরে যাওয়া ছেলেগুলি হয়ে ওঠে শিক্ষিত কেরানি। তাদের জীবন জুড়ে শুধুই দীর্ঘশ্বাস। তারা কখনোই কারো গল্পের নায়ক হয়ে ওঠে না।


আজকের আর্টিক্যালটি  পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হচ্ছে নতুন কোন আর্টিক্যাল নিয়ে সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url