এমআরআই মেশিনের প্রবেশের আগে জরুরী কিছু সতর্কতা
এমআরআই মেশিনের প্রবেশের আগে কিছু বিষয় আছে যা জেনে নেয়া অত্যন্ত জরুরী। এই এমআরআই মেশিনের ঢুকতে ভয় পায় অনেকে তবে কিছু সতর্কতাঃ আছে যা মেনে চললে ভয়ের কিছু নেই আবার না মানলে ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। সর্তকতা অবলম্বন না করায় বিভিন্ন হাসপাতালে এমআরআই মেশিনের দুর্ঘটনা হওয়ার নজির রয়েছে।
এই তো বছর কয়েক আগের কথা ভারতের রাজেশ নামক এক যুবক এমআরআই মেশিন রুমে প্রবেশ করে নিজের প্রাণ হারান। কিভাবে তাদের প্রাণ হারিয়েছিলেন এমআরআই মেশিনের যাওয়ার আগে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত বিস্তারিত সব তথ্য নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের আয়োজন।
ভারতের একটি হাসপাতালে রাজেশ তার মাকে এমআরআই করাতে নিয়ে আসে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজেশকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে বলে রাজেশ চিকিৎসককে ইনফর্ম না করেই সিলিন্ডার নিয়ে এমআরআই মেশিন রুমে ঢুকে যায়। সিলিন্ডারের ধাতব পদার্থ থাকায় এমআরআই মেশিনের সাথে চৌম্বকীয় আকর্ষণ এর মাধ্যমে সিলিন্ডার সহ রাজেশ এমআরআই মেশিনের ঢুকে যায়।
মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই রাজেশের প্রাণ প্রদীপ নিভে যায়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্যই এমআরআই মেশিন রুমে ধাতব পদার্থ নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা হয়। এমআরআই পাব ম্যাগনেটিক ব্রেসলেট ইমেজিং যার দ্বারা চুম্বকীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে মানুষের শরীরের ভেতরের ছবি তোলা হয় গোলাকার প্রেসিডেন্ট ভেতরে যেতে বেশিরভাগ মানুষই ভয় পাই কারণ মেশিন এর ভেতর থেকে কাউকে দেখা যায় না।
এছাড়া মেশিনটি ধাতব পদার্থ নিজের দিকে টেনে নিতে পারে সবকিছু রাখলে তা মুহূর্তের মধ্যে চলে যাবে মেশিন এর ভেতরে তাৎক্ষণাৎ এমন ঘটনায় বেশিরভাগ সময়ই মেশিন নষ্ট হয়ে যায় এভাবে প্রাণ হারিয়েছিল। রাজেশ কারণ তার হাতে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারে ছিল ধাতব পদার্থ তাই তিনি সিলিন্ডারসহ এমআরআই মেশিনের ছিটকে পড়েন এবং পরবর্তীতে প্রাণ হারান এমআরআই মেশিন রুমে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নজির খুব বেশি নয় কারণ কর্তব্যরত সকল.
এ বিষয়ে কঠোর সর্তকতা অবলম্বন করেন এমআরআই মেশিনের ব্যবহার করা ম্যাগনেট অর্থাৎ চুম্বক এতটাই শক্তিশালী যে এটি কঠিন কোন ধাতব পদার্থ ছাড়াও মানুষের শরীরে ব্যবহার করার ছোট কোন ধাতব একটুকরো কেউ আকর্ষণ করে নিজের দিকে টেনে নিতে পারে। কানের দুল কিংবা নাকের এমআরআই মেশিন দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
গলায় চেইন হতে পারে বিপদজনক তাই এমআরআই মেশিন রুমে ঢোকার আগে দলফিন কিংবা গলার চেইন খুলে ফেলা উচিত শুধু তাই নয় শরীরে থাকা ট্যাটুর ক্ষেত্রেও এমন সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত কারণ ট্যাটুতে থাকাকালীন মধ্যেও ধাতব পদার্থ নিঃসৃত থাকার সম্ভাবনা থাকে।
তাই যদি কারো শরীরে ট্যাটু থাকে তাহলে এমআরআই মেশিন রুমে ঢোকার আগেই কর্তব্যরত চিকিৎসক জানানো উচিত কেউ কেউ কানে শোনার জন্য হিয়ারিং মেশিন ব্যবহার করে থাকে। এমন কেউ থাকলে এই বিষয়ে অবগত করা উচিত ডাক্তারকে অনেক হার্টের রোগীদের পক্ষে ড্রিংকিং স্থাপন করা থাকে।
এমআরআই মেশিনের এগুলোর দাড়াও ঘটতে পারে দুর্ঘটনা এক্সিডেন্ট হওয়া কিংবা অন্য কোনো জটিল সমস্যায় কারো কারো শরীরে ঢোকানো হয়। এরকম কোন ধাতব পদার্থ শরীরে থাকলে তা সেখানকার চিকিৎসককে আগেই অবগত করতে হবে। অর্থাৎ রোগীর সমস্যা অনুযায়ী ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি এমআরআই করার জন্য উপযোগী কিনা তবে অনেকেরই তাদেরকে নিয়ে প্রশ্ন থাকে।
সেগুলো সাধারনত ম্যাগনেট আকর্ষিত হয় না তার পরেও চিকিৎসককে জানানো হয়েছে ও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সকল দুর্ঘটনা এড়াতে তাই মোবাইল চার্জার সহ সকল ধরনের ধাতব পদার্থ এমআরআই মেশিন রুমের বাইরে রেখে রুমের ভেতরে প্রবেশ করা উচিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url