জিবন বিমা কি? বিমার সকল বিষয় বাংলায় বিস্তারিত
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি অনেক ভাল আছেন অনেকদিন পর আজকে একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেলের শিরোনাম দেখে। কি বিষয়ে আমরা আজকে আলোচনা করছি। হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব জীবন বীমা কি এবং জীবন বিমার প্রকারভেদ এবং জীবন বীমার সুযোগ সুবিধা নিয়ে। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি দেশে ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে আর ইন্সুরেন্স গুলোতেই জীবন বীমা বা আরো অনেক ধরনের বীমা করার সুযোগ রয়েছে। এখনই ঘাবড়ে যাওয়ার কোন দরকার নেই আমরা আস্তে আস্তে এর প্রত্যেকটি ধরন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি insurance অথবা বিমার সকল বিষয় খুটিনাটি আপনি জানতে পারবেন। এ বিষয়গুলো জানার আগে চলুন আমরা ইতিহাস থেকে জেনে নেই যে ইন্সুরেন্স কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ইন্সুরেন্স টা আসলে কি?পোষ্টসূচিঃ
ইন্সুরেন্স বা বিমা কবে কিভাবে শুরু হয়?
ইন্সুরেন্স বা বিমা কি?
ইন্সুরেন্স বা বিমা হলো একটি অর্থনৈতিক চুক্তি, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান (যেমন বিমা কোম্পানি) এর সঙ্গে চুক্তি করে, যাতে বিপদ, ক্ষতি বা দুর্ঘটনা ঘটলে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। বিমার মূল উদ্দেশ্য হলো ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা প্রদান করা এবং ক্ষতির ফলে আর্থিক চাপ কমানো।
ইন্সুরেন্স বা বিমার সাধারণভাবে দুটি মূল দিক রয়েছে:
ঝুঁকি ভাগাভাগি: বিমা একটি ঝুঁকি ভাগাভাগির প্রক্রিয়া। এখানে, একটি বড় ঝুঁকি (যেমন দুর্ঘটনা, মৃত্যু, সম্পত্তির ক্ষতি ইত্যাদি) বিভিন্ন মানুষের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। বিমাকারী প্রতি মাসে বা বার্ষিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম নামে একটি নির্দিষ্ট অর্থ বিমা কোম্পানিকে প্রদান করেন। এর পর, যদি কোনো দুর্ঘটনা বা ক্ষতি ঘটে, তবে বিমা কোম্পানি নির্ধারিত অর্থ প্রদান করে।
অর্থনৈতিক সুরক্ষা: বিমা মানুষের বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে, বিশেষ করে যদি কোনো অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা বা ঘটনা ঘটে। এর মাধ্যমে, যারা বিমা গ্রহণ করেন তারা তাঁদের বিপদজনক বা আর্থিক ক্ষতির পরিস্থিতিতে বিমা কোম্পানির সাহায্য পান।
বিমার প্রকার
বিমা সাধারণত দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত:
- জীবন বিমা (Life Insurance) - মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করে।
- অবজেক্ট বিমা (Non-Life Insurance) - যেমন স্বাস্থ্য বিমা, গাড়ি বিমা, বাড়ি বিমা ইত্যাদি।
বিমার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের অজ্ঞাত বিপদের জন্য আর্থিক সুরক্ষা পেতে পারেন।
বিমা কত প্রকার ও কি কি ?
এটি ব্যক্তির জীবনকে নিরাপদ করে এবং যদি বিমাকারী মারা যান, তবে তাঁর পরিবার বা নির্ধারিত উত্তরাধিকারী একটি নির্দিষ্ট অর্থ পেয়ে থাকে। জীবন বিমার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পলিসি রয়েছে, যেমন:
- ট্রাডিশনাল লাইফ পলিসি (Traditional Life Policy)
- টার্ম লাইফ পলিসি (Term Life Policy)
- এন্ডওমেন্ট পলিসি (Endowment Policy)
- ইউনিট-লিঙ্কড পলিসি (Unit Linked Insurance Plan - ULIP)
- পেনশন পলিসি (Pension Policy)
এটি মানুষের জীবন ছাড়া অন্যান্য জিনিসের উপর বিমা। সাধারণত এতে সম্পত্তি, যানবাহন বা অন্যান্য বিপদের বিরুদ্ধে বিমা হয়। এর মধ্যে কিছু প্রকার হলো:
- যানবাহন বিমা (Motor Insurance)
- স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance)
- বাড়ি বিমা (Home Insurance)
- বাণিজ্যিক বিমা (Commercial Insurance)
- ভ্রমণ বিমা (Travel Insurance)
- বিপদ বিমা (Accident Insurance)
এছাড়া বিমার অন্যান্য প্রকার যেমন ক্রেডিট বিমা, কৃষি বিমা, এবং প্রপার্টি বিমাও রয়েছে।
বিমা সাধারণত মানুষের জীবনের অনিশ্চিত দিকগুলোকে নিরাপদ করতে ব্যবহৃত হয়।
জীবন বীমা কি?
জীবন বীমার সুবিধাগুলো কি কি?
জীবন বীমার অসুবিধা গুলো কি কি?
১. প্রিমিয়াম পরিশোধের উচ্চ খরচ
- টাকা পরিশোধের বোঝা: জীবন বিমার প্রিমিয়াম অনেক সময় উচ্চ হতে পারে, বিশেষ করে যখন বিমাকারী বয়সে বড় হন বা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে। প্রিমিয়াম প্রতি মাসে বা বছরে প্রদান করতে হয়, যা কিছু মানুষের জন্য আর্থিকভাবে চাপের কারণ হতে পারে।
- সাধারণ জীবন বিমার তুলনায় সঞ্চয়বান্ধব পলিসি বেশি খরচ করতে হয় (যেমন এন্ডওমেন্ট পলিসি বা ইউনিট-লিঙ্কড পলিসি), কারণ এতে বিমাকারীকে সঞ্চয়েরও সুবিধা দেওয়া হয়, যা প্রিমিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
২. বীমা পলিসির জটিলতা
- অত্যন্ত জটিল শর্তাবলী: কিছু জীবন বিমা পলিসির শর্তাবলী, টার্মস এবং কন্ডিশন বুঝতে অনেক সময় কঠিন হতে পারে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত জীবন বিমা (যেমন ULIP) আরও বেশি জটিল হয়, কারণ এটি শেয়ার মার্কেটের উপর নির্ভরশীল এবং তার পরিণতি অজানা থাকতে পারে।
- কাস্টমাইজেশন সুবিধার অভাব: কিছু বিমা কোম্পানি বা পলিসি বিক্রেতারা একটি সাধারণ পলিসি অফার করেন, যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিকভাবে কাস্টমাইজ করা সম্ভব হয় না।
৩. কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি
- বিমা কোম্পানির অবস্থা: জীবন বিমা কিনলে, আপনি যে বিমা কোম্পানির কাছে পলিসি নেন, তার আর্থিক স্বাস্থ্য ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোম্পানির অবস্থা খারাপ হয় বা কোনো কারণে কোম্পানি ব্যর্থ হয়, তবে আপনি পলিসি শো পেতে বা পলিসির সুবিধা গ্রহণ করতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
- বিমা ক্লেইম পরিশোধের বিলম্ব: কখনও কখনও বিমা কোম্পানি ক্লেইম পরিশোধের ক্ষেত্রে বিলম্ব করে, বা কিছু নির্দিষ্ট শর্তে ক্লেইম পেমেন্ট প্রত্যাখ্যান করতে পারে, যা গ্রাহকের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
৪. সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুবিধা সীমিত হতে পারে
- বিনিয়োগের ঝুঁকি: যেমন ULIP পলিসিতে বিমাকারীর প্রিমিয়ামের একটি অংশ শেয়ার মার্কেট বা অন্যান্য বিনিয়োগে যায়। এটি বাজারের ওঠানামা এবং বিনিয়োগের ঝুঁকির কারণে, কখনও কখনও নূন্যতম রিটার্ন বা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
- লো রিটার্ন: কিছু জীবন বিমা পলিসি যেমন ট্রাডিশনাল পলিসি বা এন্ডওমেন্ট পলিসি, যদিও জীবনের সুরক্ষা প্রদান করে, কিন্তু এতে সঞ্চয়ের রিটার্ন বা মুনাফা তুলনামূলক কম হতে পারে। এই ধরনের পলিসি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের জন্য খুবই উপযুক্ত নাও হতে পারে।
৫. কোনো বীমা সুবিধা না পাওয়ার ঝুঁকি
- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মৃত্যু না হলে কোনো সুবিধা নেই: যেমন টার্ম লাইফ পলিসি-তে বিমাকারী যদি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বেঁচে থাকেন, তবে তিনি কোনো অর্থ ফেরত পান না। এটি অনেক মানুষকে বিমা নিতে অনুৎসাহিত করতে পারে, কারণ তারা মনে করেন, টাকা শুধু প্রিমিয়ামের মধ্যে চলে যাবে এবং কোনো রিটার্ন পাওয়া যাবে না।
৬. সীমিত কভারেজ
- অনেক সময় পলিসি কভারেজ যথেষ্ট হয় না: জীবন বিমা পলিসির কভারেজ যদি যথেষ্ট পরিমাণ না হয়, তবে বিমাকারীর মৃত্যু বা দুর্ঘটনার পর তার পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা যথেষ্ট হতে নাও পারে। সঠিক কভারেজ চিহ্নিত না করা হলে, পরিবারকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা না পাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
- সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমাবদ্ধতা: কিছু জীবন বিমা শুধু মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত কভারেজ দেয়, এবং অন্যান্য অসুস্থতা বা আর্থিক চাপের ক্ষেত্রে সমর্থন নাও দেয়।
৭. বিমার শর্তাবলী পরিপূর্ণ না হলে অযোগ্যতা
- অযোগ্যতা বা পূর্ববর্তী অসুস্থতার সমস্যা: অনেক পলিসি বিশেষ কিছু শর্ত বা মেডিকেল পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল থাকে। যদি আপনি পূর্বে কোনো গুরুতর অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে বিমা কোম্পানি আপনাকে পলিসি প্রদান নাও করতে পারে, বা আপনার পলিসির প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে।
৮. লং টার্ম কমিটমেন্ট
- দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক বাধ্যবাধকতা: জীবন বিমা একটি দীর্ঘমেয়াদী কমিটমেন্ট। একবার পলিসি নেয়া হলে, আপনাকে অনেক বছর ধরে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে। যদি ভবিষ্যতে আপনার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়, তবে এই অর্থ পরিশোধের চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
জীবন বীমা কিভাবে করব?
১. আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বিমা নির্বাচন করুন
প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে, আপনার জীবনে কী ধরনের সুরক্ষা দরকার এবং আপনার অর্থনৈতিক লক্ষ্য কী। জীবন বিমা বিভিন্ন ধরনের হয়, তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি পলিসি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে প্রধান কিছু পলিসি হল:
- টার্ম লাইফ পলিসি: এটি সাধারণত কম প্রিমিয়াম, কিন্তু শুধুমাত্র মৃত্যু হলে পেমেন্ট প্রদান করে। সস্তা এবং সহজ।
- এন্ডওমেন্ট পলিসি: সঞ্চয় এবং জীবন সুরক্ষা উভয়ই দেয়। নির্দিষ্ট সময় পর অর্থ ফেরত পাওয়া যায়।
- ইউনিট-লিঙ্কড পলিসি (ULIP): জীবন সুরক্ষা এবং বিনিয়োগের সুবিধা দেয়।
- পেনশন পলিসি: অবসরকালীন জীবনের জন্য সুরক্ষা প্রদান করে।
আপনার বয়স, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা এবং পরিবারের পরিস্থিতি অনুযায়ী পলিসি নির্বাচন করুন।
২. বিমা কোম্পানি নির্বাচন করুন
বিমা কোম্পানি নির্বাচন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশ্বস্ত এবং প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি নির্বাচন করুন, যাদের খ্যাতি এবং ক্লেইম পরিশোধের ইতিহাস ভালো। কিছু জনপ্রিয় জীবন বিমা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে:
- বাংলাদেশে: প্রগতি লাইফ, সোনালী লাইফ, গ্রামীণ ফাউন্ডেশন লাইফ, মেটলাইফ বাংলাদেশ, শান এলআইসি।
- ভারতসহ অন্যান্য দেশে: লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন (LIC), স্ট্যান্ডার্ড লাইফ, হ্যাচেট, স্নোডার লাইফ, টাটা অ্যাট সি, প্রুডেনশিয়াল, এবং অন্যান্য।
৩. আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন
জীবন বিমা করতে হলে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে, যেমন:
- আপনার ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, পরিবারের সদস্যদের তথ্য।
- স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য: যেমন আপনার শারীরিক অবস্থা, বর্তমান অসুস্থতা, আগের স্বাস্থ্য সমস্যা।
- অর্থনৈতিক অবস্থা: আপনার আয়, ব্যয়, ঋণ এবং সম্পত্তির তথ্য।
- ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস (যদি থাকে)।
এই তথ্যগুলো পলিসি আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রিমিয়ামের হিসাব করতে সহায়তা করবে।
৪. পলিসির প্রিমিয়াম এবং শর্তাবলী যাচাই করুন
যে পলিসিটি আপনি নিতে চান, তার প্রিমিয়াম এবং শর্তাবলী যাচাই করুন। প্রতিটি পলিসির প্রিমিয়াম, কভারেজ, শর্তাবলী, এবং ক্লেইম প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে। বিভিন্ন কোম্পানির পলিসির তুলনা করুন এবং দেখে নিন আপনি কোনটি গ্রহণ করতে চান।
- প্রিমিয়াম: কত টাকা পরিশোধ করতে হবে? কত সময় পর পর পরিশোধ করতে হবে?
- কভারেজ: কিভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে আপনার পরিবার অর্থ পাবে?
- অফার বা স্কিম: কোনো বিশেষ অফার বা স্কিম আছে কি?
৫. অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করুন
জীবন বিমা কিনতে দুটি পদ্ধতি রয়েছে:
- অনলাইন আবেদন: আজকাল বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি সহজেই পলিসি নির্বাচন করে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আপনি বিমার পরিমাণ, প্রিমিয়াম এবং শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
- অফলাইন আবেদন: যদি আপনি অনলাইনে আবেদন করতে না চান, তবে আপনি নির্দিষ্ট বিমা কোম্পানির অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং পলিসি আবেদন করতে পারেন।
৬. মেডিকেল পরীক্ষা
বেশিরভাগ জীবন বিমা কোম্পানি মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যাচাই করে। সাধারণত টাকা পরিশোধের পর, কোম্পানি আপনার বয়স, স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার উপর ভিত্তি করে একটি পলিসি প্রদান করবে।
- অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পলিসি পাওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে, তবে আপনি কভারেজের সীমা বা প্রিমিয়াম বৃদ্ধির জন্য কিছু বিকল্প পেতে পারেন।
৭. পলিসি গ্রহণের পর দস্তাবেজের যাচাই
পলিসি গ্রহণের পর আপনি বিমা কোম্পানি থেকে পলিসি ডকুমেন্ট পাবেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যই বিমা পলিসির শর্তাবলী, প্রিমিয়ামের পরিমাণ, কভারেজ, এবং ক্লেইম প্রক্রিয়া দেখে সঠিকভাবে যাচাই করুন।
- পলিসির প্রতি ধারণা থাকতে হবে যে, বিমাকারী পরিবারের সদস্য বা বেনিফিশিয়ারি কে হতে হবে।
- কোন ক্ষেত্রে বিমা শো প্রদান করা হবে এবং কোন ক্ষেত্রে অযোগ্যতা থাকবে।
৮. বীমা প্রিমিয়াম পরিশোধ করুন
প্রথম প্রিমিয়াম পরিশোধ করার পরে, আপনার পলিসি সক্রিয় হয়ে যাবে। বিমা প্রিমিয়াম আপনি সাধারণত সালানা, মাসিক, বা পারতোকালি পরিশোধ করতে পারবেন। নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করা নিশ্চিত করুন, কারণ এর পরিপূর্ণতা বিমা পলিসির কার্যকারিতা নির্ধারণ করে।
৯. নির্ধারিত সময় পর পলিসি পর্যালোচনা করুন
এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আপনার জীবন পরিস্থিতি ও লক্ষ্য অনুযায়ী পলিসি পুনরায় পর্যালোচনা করেন। কিছু বছর পর যদি আপনার পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি পায় বা আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন হয়, তবে পলিসি পরিবর্তন করা বা বাড়ানো যেতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url