প্রবাসী-প্রেরিত অর্থ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় সবাই কেমন আছেন আশা করি অনেক ভাল আছেন প্রতিবারের মতো আবারও নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
আশা করি সবার ভালো লাগবে আজকের এই আল্টিকুলের বিষয়বস্তু হলো প্রবাসী প্রেরিত অর্থ নিয়ে। তো চলুন আর দেরি করবো না শুরু করি আজকের এই আর্টিকেলটি।
আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন। আজকের এই আর্টিকেলে কোন হ্যাটট্রিক বা হেডলাইন থাকবে না সরাসরি গল্প আকারে আপনাদেরকে উপস্থাপন করে দেখাবো যে প্রবাসী পিরিত অর্থ আসলে কি।
প্রবাসী পিরিত অর্থ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আসলেই বুঝতে পারবেন।
প্রবাসী-প্রেরিত অর্থ
প্রবাসী একটি দেশের অমূল্য রত্ন। তাই প্রবাসীদেরকে বলা হয় যোদ্ধা। একটি দেশের চাকা ঘুরাতে প্রবাসীদের অর্থ বিপুল পরিমাণ প্রয়োজন হয়। আর এর কারণেই প্রবাসীদেরকে বলা হয় যোদ্ধা প্রবাসীরা যদি রেমিটেন্স না পাঠায় তাহলে একটি দেশ মুহূর্তেই শেষ হয়ে যেতে পারে। মুহূর্তে শেষ হতে আমি
বুঝিয়েছি যে একটি দেশের অর্থনীতি অনেক ডুবে যেতে পারে বা নিচে নেমে যেতে পারে। তাই বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ থেকে প্রবাসীরা অন্যান্য দেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠায় যেমন আমাদের বাংলাদেশেও রয়েছে যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থেকে সেখানে কাজ করে দেশে অর্থ পাঠাই তাদেরকেই বলা হয়
যোদ্ধা। মূলত তাদের শ্রমটা একটি বাহিরের দেশে দেয় এবং বাহিরের দেশ তাকে টাকা দেয় এবং সেই টাকা যখন দেশে পাঠায় সেটি হয় রেমিটেন্স। যে দেশে প্রবাসী যত বেশি রেমিটেন্স তত বেশি আর দেশ উন্নত হই তত বেশি। এক কথায় যদি বলতে চান তাহলে অবশ্যই বলব দেশে যদি প্রবাসীরা টাকা না
পাঠায় তাহলে দেশ অচল হতে পারে। তাই আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ পৃথিবীর প্রায় বিভিন্ন দেশে থাকে এবং সেখান থেকে কাজ করে সেই অর্থগুলো আমাদের বাংলাদেশে পাঠায়। আর সেই টাকাগুলো দিয়েই আমাদের দেশের অর্থনীতি ঠিক থাকে। আমাদের বাংলাদেশ থেকে
সবচেয়ে বেশি প্রবাসী থাকে সৌদি আরবে। এসব রয়েছে আমেরিকা, বাহারাইন, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, লেবানন, ভিয়েতনাম, দুবাই, ইত্যাদি দেশে। প্রবাসী পিরিত অর্থ হলো রেমিটেন্স। প্রবাসীরা মূলত টাকা পাঠায় সে দেশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে। তাদের পরিশ্রমই আজ বাংলাদেশ এতো এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রবাসীরা তাদের কর্ম করে তাদের নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়ে ডলার কামাই করে সেটি বাংলাদেশে পাঠায় এবং সেখান থেকে আমরা অর্থনীতির ঘাটতি পূরণ করে থাকি। প্রবাসীরা হলো আমাদের দেশের গৌরব। আমরা বাংলাদেশীরা তাদেরকে স্যালুট জানাই।
পোষ্টসূচিঃ
আমাদের দেশের প্রায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি প্রবাসী রয়েছে যারা বাহিরের দেশে কাজ করে সে টাকাগুলো আমাদের দেশে পাঠাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় সুসংবাদ। তবে দুঃখের বিষয় হলো তাদের যে প্রাপ্য সম্মানটা সে সম্মানটা আমাদের দেশের এয়ারলাইন্সে এলেই পায় না। আসলে তাদের
জন্য যে এয়ারলাইন্সের সুব্যবস্থা করা উচিত সেটা করে না বরং সেখানেই বিভিন্ন পেরেশানি মধ্য দিয়ে তাদেরকে যেতে হয়। তাই আমাদের বাংলাদেশ সরকার ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস কে আহবান করব যাতে করে প্রবাসীরা তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পায় সেই ব্যবস্থা করা উচিত। এবং তাদের জন্য বিভিন্ন
ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তার কারণ তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে গিয়ে তাদের পরিশ্রমটা করে টাকা আমাদের দেশে পাঠাচ্ছে। যাকে আমরা বলি রেমিটেন্স। আশা করি এতক্ষণে মোটামুটি একটু বুঝতে পেরেছেন যে প্রবাসী প্রেরিত অর্থ অর্থাৎ রেমিটেন্স কাকে বলে
এবং কি। তো চলুন আরো একটু বিস্তারিত জেনে নেই। ভাই টাকা কেউ মাগনা দেয় না কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয়। আর এগুলো তারাই বুঝবে যারা প্রবাসী। একটা প্রবাসী যে কত কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে সেটি দেশে বসে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। মাতা পিতা ভাই-বোন পরিবার আত্মীয়-
স্বজন ছেড়ে দেশের মাতৃভূমি ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে টাকা উপার্জন করে সেটা দেশে পাঠানো সহজ কথা নয়। ভেবে দেখেছেন আপনি যদি আপনার মাতা পিতা বাবা-মা কে ছয় মাস না দেখে থাকেন তাহলে কেমন লাগবে। নিশ্চয়ই খারাপ লাগবে আর আমাদের দেশের প্রবাসীরা বছরের পর বছর
বাহিরের দেশে থাকে কাউকে সরাসরি দেখতে পায় না এমনও লোক আছে যারা ২০ বছর পর্যন্ত বাহিরে আছে এবং দেশে এখন পর্যন্ত আসতে পারেন না। শুধু রেমিটেন্স দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। এর কারনেই আমরা বাংলাদেশিরা প্রবাসী ভাইদেরকে এত ভালোবেসে থাকে। প্রবাসী পিরিত অর্থ কি
এতক্ষণ আমরা বুঝলাম কিন্তু এগুলো কিভাবে ব্যবহার করি তা এখন জানবো। প্রবাসী পিরিত অর্থ হলো রেমিটেন্স। প্রবাসী পিরিত রেমিটেন্স দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্নভাবে সেগুলো ব্যবহার করে লেনদেন করে আমাদের দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়। আর এর কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিবছর জমা হয় বিপুল পরিমাণ ডলার রেমিটেন্স।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url