আমরা অনেকেই সকালে খালি পেটে নিম পাতা খেতে চাই কিন্তু তা আমরা পারি না । তার কারন আমরা অনেকেই সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে জানি না। তাই আজ আমরা সকালে নিম পাতা খাওয়া নিয়ম এবং এর সকল প্রসেস সম্পর্কে জানবো তো চলুন শুরু করা যাক।
সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতাপোষ্টসূচিঃ
সকালে খালি পেটে নিম পাতা কিভাবে খাবেন ? যদি আপনি সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিক্যালটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। আমরা সবাই চাই সুস্থ্য সবল থাকতে । আর আমাদের দেহকে সুস্থ্য-সবল এবং মজবুদ করে তুলে এই নিম পাতা । নিম পাতার ব্যবহার সেই আদিম কাল থেকেই শুরু হয়েছে এখনো এই নিম পাতার গুনাগুন আগের মতোই আছে । নিম পাতা একটি ঔষধ গুনাগুনের একটি ফল। তাই আমরা যদি
আরো পড়ুনঃ এলার্জি জনীত খাবার যে গুলো
নিয়মিত এই নিম পাতা খেতে পারি তাহলে আমাদের সকল রোগ বা শরিরের যে কোন সমস্যা সমাধান হতে পারে। তাই আমাদের এই নিম পাতার গুনাগুন অতুলনীয়। নিমপাতা আমাদের দেহকে মজবুত ও সুস্থ্য রাখে। আপনার যদি হজমের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই নিম পাতা আপনাকে প্রচন্ড সাহায্য করবে । কারন নিম পাতা এমন একটা উদ্ভিদ যে উদ্ভিদের গুনাগুন সারা বিশ্ব ব্যাপি জনপ্রিয়।
সাধারণত আমরা নিম পাতা খেয়ে থাকি ভরা পেটে তাই আমাদের শরিরের কাজ খুব দেরিতে করে। আর যদি আমরা এই নিমপাতা নিয়মিত সকালে খেতে পারি তাহলে আমাদের শরিরের রোগ সমাধান করার কাজ খুব দ্রুত করবে। তাই আমরা চেষ্টা করবো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে কয়েকটি নিম পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ার । এতে আমাদের শরিরে বেশি কাজ করবে।
নিম পাতার মধ্যে যে গুনাগুন গুলো পাওয়া যায়
নিম পাতার মধ্যে যে গুনাগুন গুলো পাওয়া যায় তা আমরা অনেকেই জানি না। তো চলুন নিম পাতার মধ্যে যে গুনাগুন গুলো থাকে তা আপনাদের জানাই। আমরা জানি, সেই প্রাচিন কাল থেকেই নিম পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই এখনো এই নিম পাতার গুনাগুন কমেনি বরং আরো বেড়েছে। এই নিম পাতার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। তবে আমি আপনাদের যে গুনাগুন গুলো না বললেই চলে না সেই গুনাগুন গুলো আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো ।
- দ্রত ক্ষত সারাতে খুব বেশি সাহায্য করে।
- ব্রনের সমস্যা দুর করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে পরিস্কার পরিছন্ন রাখে।
- চোখের মলিন পড়া সমস্যা দূর করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দ্রত ক্ষত সারাতে খুব বেশি সাহায্য করে
আমাদের শরিরে যদি কোন প্রকার আঘাতের মাধ্যমে ক্ষত সৃষ্টি হয়। আর সেই ক্ষত ভালো করার জন্য আমরা লাখ লাখ টাকা খরচ করি । কিন্তু প্রাকৃতিক এই নিমগাছের পাতা আপনার ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করবে। আসল কথা হলো এই নিম পাতা আপনার দেহকে সুস্থ্য রাখার সকল দায়িত্ব নিয়েছে।
ব্রনের সমস্যা দুর করতে সাহায্য করে
আমাদের মধ্যে বহু মানুষ আছে যারা ব্রনের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে । তাদের জন্য এই নিম পাতা একটি কার্যকরি একটি ঔষধ। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক বা ২ চামচ নিম পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে আশা করা যায় আপনার ব্রনের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে পরিস্কার পরিছন্ন রাখে
আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে । আর এর জন্য আমরা বাজারের বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করি । আপনি কি জানেন ? এই লোশন বা ক্রিম আমাদের দেহের কতটা ক্ষতি করে ? হ্যা এগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন সমস্যা তৈরী করতে পারে । আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য সারা জীবনের জন্য ধরে রাখতে চান তাহলে এই প্রাকৃতিক গাছের পাতা ব্যবহার করে দেখতে পারেন যেমন ঃ - নিম গাছের পাতা।
চোখের মলিন পড়া সমস্যা দূর করে
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানেই না এই নিম পাতার কাজ কি ? হ্যা নিমপাতা একটি মহা ঔষধের নাম । এই নিম পাতার ব্যবহার সেই আদিম কাল থেকেই হয়ে আসছে । আমরা যদি ইতিহাস পরে দেখি তাহলে আমরা এই নিম পাতা সম্পর্কে আরো অনেক কাহিনী বা তথ্য জানতে পারবো। তাই আমাদের মধ্যে যাদের চোখের মলিন পড়া সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যপক কার্যকরী একটি ঔষধের নাম হলো নিম পাতা । আমরা যদি নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারি তাহলে আশা করা যায় আমাদের এই সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম । তাদের জন্য নিম পাতা েএকটি ঔষধের নাম তাই যাদের এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে তারা নিয়মিত প্রতিদিন খালি পেটে এই নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে আপনাদের এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে কি হতে পারে
আমরা যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিম পাতা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা আপনাদের বেশি নিমপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিব না। আপনারা নিয়ম মেনে তা সেবন করতে পারেন এতে অনেক উপকার হবে আশা করা যায়। আর যদি আপনারা নিয়ম না মেনে সেবন করতে থাকেন তাহলে আপনার উপকারের চাই অপকার বেশি হতে পারে।
পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যে, আপনি বেশি খেলে সমস্যা হবে না। হ্যা আপনি কোন জিনিসই অতিরিক্ত খেতে পারবেন না। তাই যতটুকু আপনার খাওয়া উচিত ঠিক ততটুকুই আপনার খাওয়ার প্রয়োজন । আমরা আজ আপনাদের নিম পাতা খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম বলেছি আপনি যদি বুঝতে না পারেন তাহলে বার বার পড়তে পারেন তাহলে আশা করি অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
নিম পাতা খাওয়ার বহু উপকার রয়েছে। আমরা চাই এগুলো আপনারা জানেন তাই আমরা আপনাদের এগুলো জানানোর চেষ্টা করলাম। নিম পাতার বহু গুনাগুন রয়েছে যদি আপনি একজন সুস্থ্য মানুষও হয়ে থাকেন তাহলেও খেতে পারেন । এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে নাহ। তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি অতিরিক্ত খাবেন না এতে আপনার বহু সমস্যা হতে পারে।
নিম পাতা বড়ি বানিয়ে খাবেন ?
আপনি যদি নিম পাতা দিয়ে বড়ি বানিয়ে সেগুলো খান তাহলে আশা করি আপনার অনেক উপকার হবে। তার কারন নিম পাতার মধ্যে অনেক পুুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনাকে অনেক খুশি করবে । তবে আপনাকে প্রপার ওয়েতে নিম পাতার বড়ি বানাতে হবে। নিম পাতার বড়ি বানাতে আপনার যে কাজ গুলো করতে হবে । প্রথমে আপনাকে নিম পাতা গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে ।
তারপর সেগুলো কোন কিছুর সাহায্যে সেগুলো থেতলে নিতে হবে । তার পর সেগুলো বড়ির আকৃতি দিয়ে রোদে শুকাতে হবে । বেশ হয়ে গেল আপনার নিম পাতার বড়ি এখন এগুলো আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ টি করে খেতে পারেন । দেখবেন খুব দ্রুত আপনার রোগ ভালো হয়ে যাচ্ছে । হ্যা এভাবেই আপনি আপনার নিজের বানানো নিম পাতার বড়ি খেতে পারেন ।
শেষ কথা
আমি একজন নতুন ব্লগার তাই লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে এগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি চেষ্টা করেছি একটি প্রপার ওয়েতে আপানাদের এই আর্টিক্যাল টি উপহার দেওয়ার । তাই আজকের আর্টিক্যালটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোষ্টি শেয়ার করবেন আপনাদের বন্ধুদের সাথে। আর যদি বুঝতে কোথাও কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের উত্তর দেওয়ার । আজ এতটুকুই আসছি পরের কোন নতুন আর্টিক্যাল নিয়ে ততক্ষন ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url