ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে জেনে নিন বিস্তারিত

আজ আমরা আপনাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ  খেতে হবে তা বিস্তারিত ভাবে আপনাদের জানাবো। আরো জানাবো আপনার ডেঙ্গু জ্বর হলে কি করবেন কি করবেন না। আজকের এই সম্পুর্ন  আর্টিক্যাল যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পরতে পারেন তাহলে ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে সকল ধারনা পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ । তাই চলুন শুরু করা যাক ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনার করণীয় কি কি ইত্যাদি বিষয় জেনে নেই।



ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবেপোষ্টসূচিঃ


ডেঙ্গু জ্বর কি ?

ডেঙ্গু জ্বর মূলত একটি মারাত্নক রোগ। আপনি যদি সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা নিতে না পারেন তাহলে এই রোগ আরো কঠিন আকার ধারন করতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলো একধরনের এইডস ভাইরাস এই ভাইরাস হয়ে থাকে মূলত এইডস মশার কারনে। যদি এইডস মশা আপনাকে আক্রমন করে বা কামড় দেই তখন এই রোগ বা ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে।

কেন ডেঙ্গু রোগ হয় ?  এই প্রশ্নটা আমাদের সবার মাথায় ঘুরপাক খায়। তাই আমাদের বিষয় জানা জরুরি হয়ে পরে তাই আমরা এখন আপনাদের জানাবো ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়। আমরা আগেই জেনেছি ডেঙ্গু জ্বর হয় মূলত মশার কারনে আর এই মশার নাম এইডস মশা।


এই মশা খুবই বিপদ জনক যে কাউকে কামড়ে দিতে পারে আর যদি একবার কামড় দেই তাহলে তার শেলের মধ্য যে রস বা বিষ তা ভাইরাস হয়ে শরিরে প্রবেশ করে যার কারনে আমাদের এই ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর মারাত্নক একটি জ্বর । আমরা এতক্ষনে আশা করি বুঝতে পারছি এই ডেঙ্গু রোগ বা জ্বর কেমন হয়।

এইডস মশার বাসা

আমাদের মাথায় অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খায় তার মধ্যে এই প্রশ্নটাও ঘুরপাক খাই যে, এইডস মশা কোথায় থাকে । তাই চলুন আমরা এই প্রশ্নটারো উত্তর মিলাই । মশা মুলত নুংরা জায়গায় থাকতে পছন্দ করে । সাধারণত যেখানে ময়লা-আবর্জনা বেশি থাকে সেখানে এই এইডস মশা বেশি থাকে বা বসবাস করে। এছাড়াও নুংরা পানির পাত্রে এই থাকতে পছন্দ করে।

আমরা সবাই জানি মশার কয়েকটি জাত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এই ক্ষিপ্ত এইডস মশা। এইড মশাকে মশার বস বলা হয়। আর বলবেই না কেন ? এই মশা সব  মশা থেকে বেশি শক্তিশালী তার কারনেই মূলত  এই মশাকে মশার বস বলা হয়। শুধু তাই নয় এই এতটা বিপদ ডেকে আনে যে, যা আর মশা আনতে পারে না।

আমরা এই ডেঙ্গু মশার কারনেই বেশি অসুস্থ হয়ে পরি। এই মশার দংশন এতটাই গভীর যে, এই আমাদের দেহের প্রায় অনেক গভীরে তার বিষ প্রয়োগ করে যার কারনে আমাদের শরিরে ভাইরাস আক্রমন করে যার ফলে আমাদের ডেঙ্গু রোগ বা জ্বর হয়ে থাকে।

মশা কেন আমাদের শরিরে বিষ প্রয়োগ করে

মশা মহান সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব সৃষ্টি। মহান সৃষ্টিকর্তায় ভালো জানেন এই মশা কেন সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে আজ আমাদের জানতে হবে যে, এই মশা গুলো আমাদের শরিরে কেন তার শেল দিয়ে আঘাতের মাধ্যমে কেন বিষ প্রয়োগ করে। আমরা আগেই বলেছি মশার বেশ কিছু জাত বা প্রজাতি আছে এদের মধ্যে সাধারণ কিছু মশা আছে যাদের কামড়ে বা বিষের কারনে আমাদের শরিরের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় না। এমন কিছু মশা আছে যাদের কামরে আমাদের শরির বেশ খারাপ হয়ে উঠে ।


আর তা হলো ডেঙ্গু রোগ বা ডেঙ্গু জ্বর । এই ডেঙ্গু জ্বর আমাদের শরিরে একবার আশ্রয় নিলে বা হলে আমাদের শরির থেকে এই রোগ তাড়াতে আমাদের বেশি সময় লাগে এবং আমাদের অনেক টাকা ব্যায় হয়ে থাকে যা অন্যন্য রোগের তুলনায় অনেক বেশি । আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, ডেঙ্গু রোগ কতটা ভয়ংকর হতে পারে।

আশা করি বুঝতে পারছেন মশা আমাদের কেন আক্রমন করে। মশার কিছু কিছু জাত আছে যারা মানব কে দংশন করে না বল্লেই চলে আর সেই মশাগুলো হলো  উরু মশা এই মশা সাধারণত কাউকে আঘাত করে না। তবে আরো বেশ কিছু মশা আছে যারা আমাদের অনেক বেশি আক্রমন করে থাকে আর সেই মশার জাতই হলো ডেঙ্গু ।

ডেঙ্গু থেকে মুক্তির উপায় কি ?

ইতিহাসের সেরা এক রোগের নাম হলো ডেঙ্গু । আমরা সবাই জানি ডেঙ্গু রোগ কতটা ভয়ংকর । তবে ভয়ের কিছু নাই সমস্যা যেখানে সমাধানো আছে সেখানে। সারা পৃথিবীতে ডেঙ্গু রোগির তালিকা কিন্তু কম নয়। তার পরও বেশির ভাগ মানুষ সুস্থ হচ্ছে, এর অন্যতম কারন হলো আধুনিক চিকিৎসা ।

বর্তমানে বাংলাদেশেও আধুনিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে আপনাকে সঠিক জায়গায় সঠিক চিকিৎসকের কাছে আপনার চিকিৎসা করাতে হবে। আর যদি তা না করেন তাহলে দিন দিন আপনার শরির আরো খারাপ হয়ে পরবে। আমরা সবাই চাই সুস্থ সবল থাকতে তবে আমাদের ভুলের কারনেই কিন্তু এই রোগ গুলো হয়।


এক জরীপে দেখা যায় বাংলাদেশেও দিন দিন এই ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পরছে। আর এর অন্যতম কারন হলো আমাদের পরিবেশ দূষণ। আমরা দিন দিন আমাদের ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখি যার কারনে সেখানে ডেঙ্গু মশার আবির্ভাব ঘটে । তাই আমাদের এই অভ্যাস গুলো আমাদের বিপদের কারন হয়ে দাড়ায়। 

অনেকেই এখন বলতে পারেন তাহলে এই ডেঙ্গু রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো । হ্যা এই শক্তিশালী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আমাদের চার পাশের পরিবেশ কে সুন্দর মর্ছ্রিন এবং ভালো রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। সব সময় পরিস্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। কোন পাত্রে পানি রেখে সেটা দীর্ঘক্ষন রাখা যাবে না।

ডেঙ্গু রোগ কি মহামারি ?

না । যারা বলে ডেঙ্গু রোগ মহামারি তারা সঠিক কথা বলছে না। আসলে এই রোগ কোন মহামারি নয় এটা ক্ষতিকর একটি ভাইরাস মাত্র। এই ভাইরাস যাদের শরিরে ঢুকে শুধুমাত্র তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর বাকিরা ভালো সুস্থ ও সবলই থাকে। মহামারি মূলত বলা হয় তাকে যে ভাইরাস সবাইকেই আক্রমন করে।

তবে  হ্যা যদি কোন গ্রাম বা শহর খুব বেশি অপরিস্কার হয়। তখন সেই গ্রামের বা সেই শহরের প্রায় সব মানুষেরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আবার যদি কোন ক্ষতিকর বায়ু সারা গ্রামে বা সারা শহরে পরে থাকে তাহলেও এই ভাইরাস ব্যাপক ভাবে আক্রমন করতে পারে। 

তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে যে, গ্রামে কিংবা শহরে যেন ক্ষতিকর প্লাস্টিক বা কোন ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে পরে না থাকে । যদি পরে থাকে তাহলে আমাদের উচিত সেই গ্রামের বা সেই শহরের সবাই ময়লা বা ক্ষতিকারক জিনিস পরিস্কার করা । এতে ভালো থাকবে আপনার গ্রাম ভালো থাকবে আপনার শহর।

ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের কি খেতে হবে

আমাদের যদি কারো ডেঙ্গু রোগ হয় তবে তার জন্য যেসব খাবার খাওয়া উচিত তা নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করবো । অনেক বড় বড় ডাক্তার বলেছেন যে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগিকে স্বাভাবিক সব ধরনের নরম খাবার খেতে হবে। আর এগুলো বিভিন্ন প্রকার ভালো ফলের জুস, স্যুপ, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন ইত্যাদি।
 
এগুলো বেশি বেশি খেতে বলেন ডাক্তারা। তবে আমাদের  যদি এগুলোর মধ্যে কোন জিনিস খেতে না মন চাই তাহলে জুর করে না খাওয়ায় ভালো। তবে এগুলো খেলে আমাদের ডেঙ্গু রোগ নিরাময় করতে সহজ হবে। নইতো আমাদের রোগ ভালো হবে ঠিক আছে কিন্তু সেটা অনেক সময় দেরি হবে।  

আর যদি আমরা এই জিনিস গুলো নিয়মিত বেশি বেশি খেতে পারি তাহলে আমাদের রোগ খুব সহজেই নিরাময় হবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমাদের বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত আর তা হলো শক্ত জাতীয় খাবার গুলো। এই খাবার গুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে এই কারনেই যে, এই খাবার গুলো আমাদের শরিরে বা মানবদেহে হজম হতে অনেক সময় লাগবে। 

শেষ কথা 

আজকের এই আর্টিক্যালটি পড়ে আশা করি বুঝতে পারছেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে। আর যদি বুঝতে কোথাও কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করুন । আর যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের যোগাযোগ পেজে ক্লিক করুন সেখানে আমাদের সবকিছু দেওয়া আছে। আজ এতটুকুই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url