বুদ্ধ পূর্নিমার দিন কি করতে হয় ? জেনে নিন বিস্তারিত

 আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানি না যে, বুদ্ধ পূর্নিমার দিন কি কি করতে হবে। তাই  আজ আমরা আপনাদের বুদ্ধ পূর্নিমার দিন যা  যা করতে তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো । 


বুদ্ধ পূর্নিমার উৎসব সম্পর্কে আজকেরপোষ্টসূচিঃ

বুদ্ধ পূর্নিমার দিন যা করতে হবে ?

আমাদের পৃথিবীতে যে সকল ধর্ম রয়েছে প্রায় সব ধর্মেই উৎসব রয়েছে । কোন কোন ধর্মে অনেক আবার কোন কোন ধর্মে কম। যাই হোক না কেন আমরা বুঝতে পারলাম প্রায় সব ধর্মেই উৎসব রয়েছে। ঠিক তেমনি বুদ্ধ ধর্মেও কিছু উৎসব রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এই বুদ্ধ পূর্নিমা উৎসব। বুদ্ধ ধর্মের মানুষের কাছে এই দিনটি অতি গুরুপ্তপূর্ন দিন। তাই যারা বাহিরে থাকে তারাও ছুটে আসে নিজ পরিবারের সাথে এই উৎসবটি কাটাতে। আজ আমরা বুদ্ধ পূর্নিমার বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

সাধারনত প্রায় সব ধর্মের মানুষেরাই তাদের ইশ্বরকে খুশি করতে চাই ।  তেমনি বুদ্ধ ধর্মের মানুষেরাও তাদের ইশ্বরকে খুশি করার জন্য এই উৎসব পালন করে থাকে। বুদ্ধ ধর্মের মানুষেরা এই উৎসব পালন করে থাকে ভিন্ন সব নিয়মে। প্রথমে খুব সকালে তাদের পাক পবিত্র হতে হয় । তাই তারা গোসল করে পাক পবিত্র হয়ে সরাসরি মন্দিরে চলে যায় ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য।


তারপর তারা তাদের ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে। তারা প্রতিটি মন্দিরের ভিতর আগরবাতি বা সাজসজ্জা করে রাখে। আবার অনেক অনেক মন্দির রয়েছে যারা বেশি টাকা খরচ করে মন্দিরের ভালো ভালো ডিজাইন করে থাকে ।  এতে মন্দির গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে । তাই দুর দুরান্তর থেকে মানুষ আসে মন্দিরে প্রার্থনা করার জন্য।

বুদ্ধ পূর্নিমা কত তারিখে অনুষ্টিত হবে ২০২৪ সালে

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বুদ্ধ পূর্নিমা কত তারিখে হবে তা জানি না। তাই আজ আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি বুদ্ধ ধর্মের অনুসারি হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় আপনার জানার কথা যে, বুদ্ধ পূর্নিমা  বৈশাখ মাসের পূর্নিমা তিথি । আমরা আরো জানি যে, প্রতি মাসেই পূর্নিমা তিথি আসে। বাংলা ক্যলেন্ডারের প্রথম মাস বৈশাখে পূর্নিমা তিথির দিনে বুদ্ধ পূর্নিমার উৎসব উনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

তাই এই বছর পূর্নিমার তিথি ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হবে মে মাসের ২৩ তারিখ হবে  । সাধারনত বাংলাদেশে প্রতি বছরের বৈশাখ মাসে প্রথম সপ্তাহে বুদ্ধ পূর্নিমার তিথি দেখা দেয় । আর এই দিনে সারা পৃথিবীর বুদ্ধ ধর্মালম্বি মানুষ তাদের উৎসবে মেতে উঠে । এ যেন রিতিমতো মজার করুন এক দৃশ্য।  আমরা আপনাদের আজ বুদ্ধ পূর্নিমার দিন সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করলাম আশা করি বুঝতে পারছেন। 

বৈশাখ পূর্নিমা আর বুদ্ধ পূর্নিমা কি একই উৎসব নাকি আলাদা

আমাদের মনে অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খাই তা হলো বৈশাখ পূর্নিমা আর বুদ্ধ পূর্নিমা কি একই উৎসব নাকি আলাদা। চলুন এই বিষয়টি আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই । যারা বলে বৈশাখ পূর্নিমা আর বুদ্ধ পূর্নিমা একই তাদের চিন্তাভাবনায় ঠিক । সাধারনত উৎসব একটাই দিনও একটাই শুধু নামের ক্ষেত্রে একটু তফাৎ। তা হলো বৈশাখ পূর্নিমা যে দিনে অনুষ্ঠিত হয় ঠিক একই দিনকে বুদ্ধ পূর্নিমা বলা হয়। 

তাহলে বুঝার আর বাকী রহিল না। বৈশাখ পূর্নিমা আর বুদ্ধ পূর্নিমা একই।  সাধারনত বৈশাখ পূর্নিমা বলা হয় বৈশাখ মাসে যে পূর্নিমার চাঁদ উঠে তাকে। আর বুদ্ধ পূর্নিমা যে দিনে পূর্নিমার চাঁদ উঠে সেই দিনকেই বুঝায় এছাড়া বুদ্ধদের উৎসবের নাম হিসেবেও পরিচিত এই বুদ্ধ পূর্নিমা। আশা করি বুঝতে পারছেন। আর যদি না বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের কমেন্ট করুন আমরা আপনাকে বুঝিয়ে  দেওয়ার চেষ্টা করবো ।


এই দিনটি অতি ভালো একটি দিন বুদ্ধ ধর্মালম্বিদের কাছে। জানা যায় গৈৗতম বুদ্ধ এই দিনে তার গেন লাভ করেছিল তাই এই দিনকে স্মরনীয় করে রাখতেই  এই উৎসব পালন করে থাকে বুদ্ধ ধর্মালম্ভিরা । আমরা জানি পৃথিবীতে বহু বুদ্ধ ধর্মের মানুষ রয়েছে তারা এই দিনে তাদের ধর্মের উৎসব পালন করে থাকে। 

বুদ্ধ পূর্নিমা কেন পালন করা হয়

আমরা এতক্ষন জানলাম বুদ্ধ পূর্নিমার দিনে আমরা কি কি করবো। আবার আমাদের অনেকেই আছে যারা জানি না যে বুদ্ধ পূর্নিমা কেন পালন করা হয়। আমরা ইতিমধ্যেই মধ্যেই আলোচনা করেছি যে, বুদ্ধ পূর্নিমা বুদ্ধ ধর্মালম্বিদের একটি উৎসব। এই দিনে তারা আনন্দ উল্লাস করে এবং তাদের ইশ্বরকে স্মরন করে তার নিকট প্রার্থনা করে । যাতে তারা ভালো থাকতে পারে সারা জীবন। 

আবার আরেকটি কারন রয়েছে, বুদ্ধ পূর্নিমা উৎসব করার তা হলো ঃ বুদ্ধ ধর্মের ইশ্বর  গৌতম বুদ্ধ এই দিনে জন্মগ্রহন করেছিলেন। আবার এই দিনেই তিনি তার মস্তিস্ক সুনায়ন করেন। তাই বলা যায় বুদ্ধ পূর্নিমার এই দিনে তারা তাদের রীতি-নীতি অনুসরন করে তাদের উৎসব পালন করে থাকেন। 

আমরা জানি প্রায় সব ধর্মেই কোন না কোন উৎসব রয়েছেই । যেমনঃ ইসলাম ধর্মে বছরে ২ টি ঈদ রয়েছে । একটি হলো পবিত্র ইদুল ফিতর আরেকটি পবিত্র ইদুল আযহা। আবার হিন্দু ধর্মেও ১২ মাসে ১৩ পূজা রয়েছে । এগুলোকে বলা হয় উৎসব পৃথিবীতে বহু ধর্ম রয়েছে  এবং নিজস্ব উৎসবও রয়েছে ঠিক তেমনি বুদ্ধ ধর্মেও উৎসব রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো বুদ্ধ পূর্নিমা উৎসব।

বুদ্ধ পূর্নিমার সরকারি ছুটি

অন্যান্য ধর্মে যেহুতু বহু উৎসব রয়েছে ঠিক তেমনি বুদ্ধ ধর্মেও কিছু উৎসব রয়েছে। আর এ কারনেই বুদ্ধ পূর্নিমা উৎসব সরকারি ছুটি হিসেবে গন্য হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে যেহুতু প্রায় অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করেন । তাই আমাদের সরকার সবাইকেই তাদের নিজস্ব ধর্মের নিজস্ব উৎসব পালন করার অনুমতি দিয়েছেন। 

যেহুতু আমাদের বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বুদ্ধ ধর্মের মানুষ বেশি পাওয়া যায়। তাই সেখানকার বুদ্ধ ধর্মের উৎসব গুলো বেশি দেখা যায়। আমাদের বাংলাদেশে আমরা বহু ধর্মের মানুষ একত্রে বাস করি। এতে আমাদের কোন অসুবিধা হয় না আশা করি ভবিষ্যতেও হবে না। 

তাবে আমাদের দেশে যেহুতু মুসলিম সম্প্রদায় বেশি তাই আমাদের উৎসব গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছুটি পায়। মুসলিম ধর্মের মানুষ তবে আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে আমাদের দেশে প্রত্যেকটি ধর্মের উৎসবের জন্য সরকারি ছুটি বরাদ্দ আছে।

বুদ্ধ পূর্নিমায় কার জন্মদিন 

বুদ্ধ পূর্নিমায় কার জন্মদিন তা আমরা অনেকেই জানি না । তাই চলুন আমরা এই বিষয়টি ভালো করে জেনে নেই। আসলে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বুদ্ধ পূর্নিমায় বুদ্ধ ধর্মের ইশ্বর গৌতম বুদ্ধর জন্মদিন। এই দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহন করেছিলেন। আবার অনেকেই ভিন্নমত পোষন করে আমরা আপনাদের যা জানালাম তা গগুল থেকে জানতে পেরেছি। আমরা আরো বলতে পারি যে গৌতম বুদ্ধ এই দিনে তার মস্তিস্কের তথ্য ভান্ডার খুলেছিল তাই তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেন।


আমাদের শেষ কথা

আমরা যেহুতু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাই আমাদের লেখায় যদি কোন ভুল হয়। তাহলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা প্রায় সব ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি। তাই আমরা বিভিন্ন ধর্মের পোষ্ট গুলি ও করে থাকি। আজ  এতটুকুই দেখা হচ্ছে পরের কোন আর্টিক্যালে সেই পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনায় করি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url