ইসলামে ধনি হওয়ার কার্যকরি উপায় - ৩৫ দিনে ধনি হওয়ার কার্যকরি আমল
ইসালামিক আমল করে কিভাবে ধনি হবেন ? আজ আজ আমরা এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো। ধনি কে না হতে চাই আমরা সবাই ধনি হতে চাই। কিন্তু অনেকে ভুল সিদ্ধান্তের কারনে ধনি আর হতে পারেনা।
আজ আমরা ইসলামের কিছু আমল আপনাদের বলে দিবো সেই আমল গুলি যদি আমরা করতে পারি তাহলে অল্পসময়ে ধনি হতে পারবো।
ধনি হওয়ার মূলমন্ত্রপোষ্টসূচিঃ
ইসলামে ধনি হওয়ার উপায়
ইসলামে ধনি কিভাবে হবেন তা আমরা অনেকেই জানি না। তাই আজ আমরা ইসলামে ধনি কিভাবে হবেন তা আপনাদের জানাবো। ধনি আমরা সবাই হতে চাই কিন্তু হতে পারি মাত্র কয়েকজন। এর মূল কারন হলো আমরা আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশি করি। আমরা যদি ইসলামে ধনি হতে চাই তাহলে আমাদের কিছু আমল করতে হবে যা খুবই সহজ।
তবে মনে রাখতে হবে শুধু আমল করলেই হবে না । তার সাথে আমাদের পরিশ্রম ও করতে হবে একটি প্রবাদ আছে পরিশ্রম সুভাগ্যের চাবিকাঠি। তাই আপনাকে প্রত্যেকটা আমল প্রতিদিন করতে হবে এবং আপনি যে কাজই করেন না কেন পরিশ্রম করতে হবে।
আপনি যদি অবৈধ পথে আপনার ইনকাম করে থাকেন তাহলে এই আর্টিক্যাল টি আপনার জন্য না। আপনি হইতো অবৈধ পথে তারাতারি ধনি হতে পারবেন কিন্তু মনে শান্তি পাবেন না। আপনাকে সৎ ভাবে ইনকাম করতে হবে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার আয় বৃদ্ধি করে দিবেন এবং আপনার সুখ বাড়িয়ে দিবেন।
আপনি যদি নিয়মিত ফজরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে ধনি হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন তাহলে আল্লাহ নিশ্চয় আপনাকে সাহায্য করবে। তাছাড়াও আরো বেশ কিছু দোয়া আছে যেগুলো যদি আপনি নিয়মিত সকাল ও সন্ধায় পাঠ করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াত করেন তাহলে মহান আল্লাহ আপনাকে ধনি বানিয়ে দিবেন।
যত বেশি পারেন আল্লাহর রাস্তায় দান করুন । এটি মহান আল্লাহ অনেক পছন্দ করেন এতে আপনার ধন কোনদিন কমবে না বরং আরো বেশি আপনার আয় বৃদ্ধি করে দিবেন। তাই যত বেশি পারেন গরিব দুঃখি দের দান ও সদকা করুন এতে আপনার দুনিয়ায় ও কাজে লাগবে এবং আখেরাতেও কাজে লাগবে।
আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজ যেভাবে পড়বেন
দ্রুত বিয়ে করুন । বর্তমানে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিয়ে করতে দেরি করে ফেলেন । তার অন্যতম কারন হলো আর্থিক ভাবে অসচ্ছলতা । এগুলো বাদ দিন বিয়ে করলে মহান আল্লাহ আপনার আয় বৃদ্ধি করে দিবেন এবং দ্রুত ধনি হতে পারবেন।
সব সময় অজু অবস্থায় থাকুন এটি আমাদের নবি করিম (সঃ) এর একটি সুন্নত এটি আপনার আয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন এবং আল্লাহর কাছে আপনার অভিযোগ করুন এতে আপনার দুনিয়ার যেমন কাজে লাগবে ঠিক তেমনি আখেরাতেও আপনার অনেক কাজে লাগবে।
ধনি হওয়ার আরেকটি উপায় হলো ব্যবসা । ব্যাবসা মহান আল্লাহ করতে আদেশ করেছেন এবং এটি হালাল করেছেন। আমরা অনেকেই চাকরির পিছনে ছুটি শেষে চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পরি । বরং চাকরি বাদ দিয়ে ব্যাবসা করুন প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করুন পরে আস্তে আস্তে আপনার ব্যাবসার প্রসার ঘটান।
ইসলামের দৃষ্টিতে ধনি হওয়ার উপায়
সৎ পথে আপনি ১ দিনেই ধনি হতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং পরিশ্রম কর েহবে। তাহলেই আপনি একজন সফল মানুষ হতে পারবেন এবং আপনার ইনকাম বৃদ্ধি হবে ।
আশা করি বুজতে পারছেন। আপনি যদি ইসলামের দৃষ্টিতে ধনি হতে চান তাহলে আপনাকে কিছু
টিপস ফলো করতে হবে। তা হলো চাকরি বাদ দিন ব্যবসা করুন তার কারন এটি একটি ইসলাম সমর্থিত উপার্জনের উপায়। আপনি চাইলে ইসলামিক প্রডাক্ট গুলো নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। এতে মহান আল্লাহ আপনার ব্যবসা বাড়িয়ে দিবেন।
টুপি, ফলের দোকান, কাচাঁমালের ব্যবসা বা কাপড়ের ব্যবসা ইত্যাদি করতে পারেন। এগুলো ইসলাম সমর্থিত ব্যবসা যে গুলো সেই নবির সাহাবিরাও করতো। আপনি শুরুতে অল্প পরিসরে শুরু করুন পরে মহান আল্লাহ আপনার ব্যবসা বাড়িয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আপনি যদি হারাম খেয়ে থাকেন তা এখনি বাদ দিন। হালাল ভাবে চলুন হালাল খাবার খান। এতে আপনার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষিত করবেন। এবং আপনার আয় বৃদ্ধি করে দিবেন যাতে আপনি সফল একজন ইসলামের দৃষ্টিতে ধনি ব্যাক্তি হবেন।
দ্রুত সফল বা ধনি হওয়ার আমল
এমন কিছু আমল আছে যা আমরা উপরে বলেছি সেগুলো নিয়মিত করুন। আর হে দ্রুত সফল বা ধনি হওয়া এতো সহজ নয়। আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সবর ধরতে হবে বা ধৈর্য ধরতে হবে নইতো আপনি আর সেই স্বপ্ন নাও দেখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পবিত্র ঈদুল ফিতর কবে
প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। এতে আল্লাহ আপনার রুজি রোজগার বৃদ্ধি করে দিবেন। আর যদি আপনি হারাম উপায় অবলম্বন করে ধনি হতে চান। তাহলে রাতারাতি ধনি হতে পারবেন কিন্তু সেই ধনি কতদিন টিকবে তা বলা যাবে নাহ তার চেয়ে বড় কথা হলো আপনি মনে শান্তি পাবেন না।
আপনি যদি ধৈর্য ধারন করতে পারেন এবং সৎ ভাবে পরিশ্রম করতে পারেন এবং আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি দ্রুত সফল হতে পারবেন বা ধনি হতে পারবেন।
রিজিক বৃদ্ধির জন্য পার্থনা
আপনার যদি রিজিক কম হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার রিজিক বৃদ্ধির জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া বা পার্থনা করতে পারেন। এতে মহান আল্লাহ আপনার রিজিক বৃদ্ধি করে দিবনে ইনশাআল্লাহ।
সকাল ফজর নামাজ পরে আল্লাহর কাছে রিজিক বৃদ্ধির জন্য দোয়া করুন ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করবেন। আপনাকে অবশ্যই হালাল খাবার খেতে হবে এবং আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলতে হবে।
তাহলেই আপনাকে আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন। নইতো আপনি যতই পার্থনা করেন না কেন মহান আল্লাহ আপনার গুনাহ ক্ষমা করবেন না এবং আপনার রিজিক বৃদ্ধি করবেন না। তাই আপনি যদি আপনার রিজিক বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ইসলামের কাজ গুলো করুন।
অভাব দূর করার আমল
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে অভাবি লোকের অভাব নেই। আমরা সবাই চাই আমাদের যাতে কোন অভাব না থাকে কিন্তু তা ক জনের হয়। তাই আমি আপনাকে কিছু আমলের কথা বলবো যে আমল গুলো যদি আপনি প্রতিদিন করতে পারেন তাহলে মহান আল্লাহ আপনার অভাব দূর করবেন।
আপনি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করুন । ”হে আল্লাহ আপনি আমার অভাব দূর করে দিন” এভাবে কেদেঁ কেদেঁ আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রাথনা করুন । ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনার প্রার্থনা বা দোয়া কবুল করবেন।
রাতের গভিরে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করুন এবং আল্লাহর নিকট আপনার অভাবের কথা বলুন । নিশ্চয় আল্লাহ মহান তার কোন অভাব নেই । তিনি আপনার অভাব দূর করবেন ইনশাআল্লাহ। এভাবেই আরো অনেক সময় আছে যেমন ঃ ফজরের নামাজের পর, মাগরিবের নামাজের পর । এই সময় গুলোতেও আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন।
লেখকের কথা
আশা করি আজকের এই আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং সম্পুর্ন আর্টিক্যলটি বুঝতে পেরেছেন। আমিও গর্বিত এরকম একটি আর্টিক্যাল লেখার জন্য। আমার যদি কোথাও কোন ভুল হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং যদি কোথাও বুজতে সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করুন আমি খুব শিগ্রই আপনার কমেন্ট এর উত্তর দিবো। আজকের মতো এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন এবং আমাদের সাথেই থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url