ভিজিডি ভ্যাট আবেদন ২০২৩-২০২৪ | VGD Application 2023-2024
ভিজিডি আবেদন বা ভ্যাট আবেদন সম্পর্কে আজকের এই আর্টিক্যলে আমি জানাতে চলেছি ভিজিডি আবেদন বা ভ্যট সম্পর্কে সবকিছু ।
চলুন শুরু করা যাকপোষ্টসূচিঃ
ভিজিডি অথবা ভ্যাট কি
বাংলাদেশে, ভ্যাট অথবা ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (VAT) হলো এমন একটি কর যা পণ্য ও সেবার বিনিময়ের সময় যোগ করা হয়। ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠান কোনও পণ্য বা সেবা বিনিময় করলে তারা সেই লেনদেনে নির্দিষ্ট হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। তার পরে, ভ্যাট অধিদপ্তরে রেজিস্টার করে আবেদনকারীগণকে একটি ভ্যাট নম্বর প্রদান করা হয়।
ভ্যাট সাধারিতভাবে কোনও পণ্য বা সেবা বিনিময় হতে বা উৎপাদন হতে সংবলিত হয়, এবং তার মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ হয়। এটি আমলে আসার পরে ভ্যাট অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হয় এবং এর জন্য একটি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ভিজিডি বা ভ্যাট
ভিজিডি বা ভ্যাট (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) আবেদন করতে বাংলাদেশের বৃহৎ্ত্তর হিসেবে আপনি আপনার প্রতি বছরের জন্য ই-ভ্যাট (ইলেকট্রনিক ভ্যাট) রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। এটি করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারে:
ভ্যাট প্রক্রিয়া জানুন
ভ্যাট প্রক্রিয়া বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন হতে পারে, তবে বাংলাদেশে ভ্যাট প্রক্রিয়াটি সাধারিতভাবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়
ই-ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতায় এসে ই-ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এটি অনলাইনে করা হয় এবং ভ্যাট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এর জন্য আবেদনকারীকে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যাওয়া, একটি ই-ভ্যাট একাউন্ট তৈরি করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।
অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট ই-ভ্যাট একাউন্ট তৈরি করার পর, প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির তথ্য সহ ভ্যাট আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এটি অনলাইনে সাবমিট করা যায় এবং এর সহযোগিতায় আবেদনকারীকে অধিদপ্তরে যাওয়ার দরকার হতে পারে।
ডকুমেন্ট সাবমিট আবেদন সম্পন্ন হলে, অবশ্যই আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। এটি আবেদনকারীর প্রকারে বা কোম্পানির ধরনের উপর নির্ভর করতে পারে।
ভ্যাট নম্বর প্রদান ভ্যাট অধিদপ্তর আবেদনকারীকে অবশ্যই একটি ভ্যাট নম্বর প্রদান করে, যা পরবর্তীতে সকল ভ্যাট সংলগ্ন লেনদেনে ব্যবহৃত হবে।
ভ্যাট চালান ভ্যাট নম্বর প্রাপ্তির পর, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট চালান প্রিন্ট করতে পারে এবং তার সাথে যাত্রা যাত্রার সময় সাথে নিতে হবে।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করতে পারে এবং ভ্যাট সংক্রান্ত সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারে। আপনি চাইলে ভ্যাট অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে তাদের থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে পারি।
প্রথমে ভ্যাট আবেদনের জন্য করনীয়গুলি জানতে ভ্যাট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (https://nbr.gov.bd/) বা নিকটস্থ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করুন।
ই-ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ভ্যাট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যান এবং ই-ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পৃষ্ঠায় যান। আপনার কাছে একটি ই-ভ্যাট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করার সময় আপনার ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক তথ্য প্রদান করুন, যেমনঃ আপনার নাম, ঠিকানা, ব্যবসার ধরণ, ইত্যাদি।
দস্তখত এবং ডকুমেন্টস সাবমিট ই-ভ্যাট আবেদন ফরম পূরণ হলে, আপনাকে আবশ্যক ডকুমেন্টস এবং দস্তখত সাবমিট করতে হবে।
ভ্যাট নাম্বার প্রাপ্তি আবেদন এবং ডকুমেন্টস সঠিকভাবে সাবমিট করার পর, ভ্যাট অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ দ্বারা আপনার জন্য একটি ভ্যাট নাম্বার প্রদান করা হবে।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে আপনি বাংলাদেশে ভ্যাট প্রণালীর মধ্যে নিজেকে নিবন্ধিত করতে পারবেন। এছাড়াও, ভ্যাট অধিদপ্তরে সাধারিতভাবে আপনার ভ্যাট প্রক্রিয়া জনিত কোনও প্রশ্ন থাকলে তাদের কাছে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভিজিডি
আপনি যদি ভিজিডি এবং এটির সংক্ষেপ ভ্যাট নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করতে বলছেন, তাদের মধ্যে একটি ভুল বা পুরানো শব্দ হতে পারে। বাংলাদেশে ভ্যাট হলো ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্সের ক্ষুদ্রতম সংক্ষেপ, যা করের সংক্রান্ত একটি প্রকার অধিনিয়মিত রাজস্ব।
অন্য দিকে, ভিজিডি নামটি সাধারিতভাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বাণিজ্যিক কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান সূচন করতে ব্যবহৃত হতে পারে। "ভিজিডি" নামের ব্যবসায়িক একটি প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য বা কার্যক্ষমতার কথা বলতে অক্ষরগুলির সামনে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের সংক্ষেপ হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url