যক্ষা রোগের লক্ষণ | যক্ষা রোগের চিকিৎসা

হ্যলো বন্ধুরা যক্ষা এমন একটা রোগ যেটা মানুষকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিতে পারে । এক সময় যক্ষা রোগে মানুষ প্রচুর মারা যেতো এই রোগের কোন চিকিৎসা ছিল না। এই জন্য মানুষ বলতেন, ’যার হয় যক্ষা তার নাই রক্ষা’ এটি একটি প্রবাদ গ্রামে এই রোগের সংস্যা বেশি ছিল। আর বাংলাদেশসহ প্রায় সকল দেশেই এখন যক্ষা রোগের চিকিৎসা হয়। বহু মানুষ সুস্থও হয়। বলতে পারেন আধুনিক চিকিৎসা আমাদের প্রায় অনেক রোগের বিশাল সমাধান। বাংলাদেশ কয়েক বছর আগেও এতো চিকিৎসার উন্নতি ছিল না আর আজ বাংলাদেশের চিকিৎসা অনেক উন্নত হয়েছে । 



আজ আমরা এই আর্টিক্যালে আপনাদের জানাতে চলেছি যক্ষা রোগের চিকিৎসা এবং যক্ষা রোগের লক্ষণ সম্পর্কে যাতে আপনারা যক্ষা রোগের বিষয়ে খুটিনাটি জানতে পারেন তো চলুন শুরু করা যাকপোষ্টসূচিঃ

যক্ষা রোগ কি 


যক্ষা বা টাবারখানা, এটি একটি ছোট বা বড় পদার্থমূলক অথবা জীবাণু যে মানুষের শরীরে ঢোকে এবং তার উপর আক্রমণ করে এবং তার উপকৃত কাছে রোগ উত্পন্ন করে। এই জীবাণুগুলি মূখ, গলা, ফেফড়া, বা পেটে অবস্থিত হতে পারে এবং ব্যক্তিগণকে কষ্টবহুল এবং ভারী হাঁটু শ্বাসতন্ত্রের সাথে মুক্তি পাওয়া যায়। এই অবস্থাকে আমরা যক্ষা রোগ বলি।

যক্ষা একটি ছবিতে হতে পারে, কিন্তু মৌলিকভাবে এটি জীবাণু সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত। এটি প্রাথমিকভাবে হাঁটু শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং হৃদপিণ্ড, ফেফড়া, গলা, মূখ এবং নাকে আক্রমণ করতে পারে।

যক্ষা রোগের কারণ

যক্ষার মুক্তি কোষ সাধারিতভাবে হাঁটু শ্বাসতন্ত্রে ঢোকে, এবং তারা সঠিক পরিস্থিতিতে থাকতে সক্ষম হলে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষভাবে এটি অধিক সংক্রমণশীল অঞ্চলগুলি, যেমন ঘান, মুখ, নাক, গলা, ফেফড়া, হৃদপিণ্ড, পেট, এবং আংগুলে হতে পারে। এই জীবাণুগুলি সাধারিতভাবে হতে পারে একজন ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে এবং সঠিক পরিস্থিতিতে বাক্সকারী হতে সক্ষম হতে পারে।

যক্ষা রোগীর খাবার তালিকা

যক্ষা রোগীদের জন্য সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেগুলি তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। তাদের জন্য নিম্নোক্ত খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে
প্রোটিনের ধারাবাহিক উৎস হিসেবে মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, পানির দুধ ইত্যাদি যোগ করা হয়।
শাকসবজি, ফলের ধারাবাহিক উৎস হিসেবে সবজি, ফল, অটি ইত্যাদি যোগ করা হয়, যা ভিটামিন এ, সি, এবং খনিজ প্রদান করতে সাহায্য করে। ডাল, লেন্টিলস, ছোলা, কিশমিশ, অটি, নাটস, ভাত ইত্যাদি যোগ করা হয়, যা শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে। বাদাম, আখরোট, শর্করা, প্রোটিন বাড়াতে কিশমিশ, সুজি ইত্যাদি যোগ করা হয়। ডেয়রি পণ্যের মধ্যে দুধ, দই, চিজ ইত্যাদি থাকতে পারে, যা ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি প্রদান করতে সাহায্য করে। যক্ষা রোগীদের দৈহিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

যক্ষা রোগের লক্ষণ

যক্ষা (Tuberculosis) একটি জীবাণু সংক্রমণের কারণে উত্পন্ন একটি রোগ হতে পারে, এবং এর লক্ষণগুলি বিভিন্ন অংশে প্রদর্শিত হতে পারে। এই লক্ষণগুলি সাধারিতভাবে হাঁটু শ্বাসতন্ত্র এবং শরীরের অন্যান্য অংশে দেখা যেতে পারে। একজন যক্ষা রোগী নিজের সম্পর্কে একটি বা একাধিক লক্ষণ অনুভব করতে পারে। এক্ষেত্রে তাকে তার স্বাস্থ্য সহায়কের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

যক্ষা রোগের মৌলিক লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে

  1. শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা

    • শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা হতে পারে, এবং যক্ষার রোগীরা অসুস্থ হতে পারে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করতে পারে।
  2. খোকা শব্দ

    • খোকা শব্দ করতে পারে, এটি হাঁটু শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্টি হতে পারে।
  3. উচ্চ তাপমাত্রা

    • রোগী উচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করতে পারে।
  4. ওজন হ্রাস

    • রোগীর ওজন হ্রাস হতে পারে এবং তার সার্দির জন্য অক্ষম হতে পারে।
  5. বমি বা দুর্বলতা

    • কিছু সময় বমি বা দুর্বলতা হতে পারে।
  6. রাতে কুড়চোলার জন্য সাবধান

    • রাতে কুড়চোলা এবং প্রস্রাব বা রক্ত বহির্ভূত হতে পারে।

এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে রোগীকে শীঘ্রই চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরোধ করতে এবং লক্ষণ মাসিক রোগীকে সবসময় তার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

যক্ষা রোগের চিকিৎসা

যক্ষা (Tuberculosis) রোগের চিকিৎসা সাধারিতভাবে তিনটি ধাপে সম্পন্ন হতে পারে: প্রথমধ্যায়ে (intensive phase), দ্বিতীয়ধায়ে (continuation phase), এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বা জীবনদীর্ঘ চিকিৎসা (maintenance or lifelong therapy)।

১. প্রথমধ্যায় (Intensive Phase)

  • বাক্সিলাস কিলিনিকাস (Bacillus Calmette-Guerin, BCG) টীকা

    • যক্ষা রোগ প্রতিরোধে এবং সাধারিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে BCG টীকা প্রদান করা হয়।
  • ফ্লিউইড রিস্টিকশন স্প্যাসিমেন (sputum) পরীক্ষা

    • যক্ষা রোগ নিশ্চিত করতে রোগীর খোকা থেকে ফ্লিউইড রিস্টিকশন স্প্যাসিমেন পরীক্ষা করা হয়।
  • অন্তিবাহ্যিক পাঠালি পরীক্ষা (Chest X-ray)

    • রোগের ধরন এবং অবস্থা নির্ধারণের জন্য অন্তিবাহ্যিক পাঠালি পরীক্ষা হয়।
  • মাইকোব্যাকটেরিয়াম টুবারকোলোসিসের জন্য ঔষধ চিকিৎসা

    • প্রথম ধাপে, এই রোগের চিকিৎসায় রোগী প্রাইমারি ঔষধের একটি জোড় প্রদান করা হয়, যার মধ্যে ইসোনিযাজিড (Isoniazid)

যক্ষা রোগ হলে কিংবা যক্ষা রোগ হওয়ার সম্বাভনা থাকলে অবশ্যই ভালো কোন চিকিৎকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url