ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় | ব্লগিং করে ক্যারিয়ার গড়ুন

 ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় আজ আমরা এই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। সর্ব প্রথম জানতে হবে আপনি কোন ভাষায় ব্লগিং করবেন বা ব্লগ লিখবেন। আপনি যদি আমার মতো বাংলা ভাষায় ব্লগিং করেন। তাহলে আপনি ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন আবার অনেকেই বাংলা ভাষা দিয়ে ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকাও  আয় করে থাকে। তবে যদি আপনি ইংরেজি ভাষা নিয়ে ব্লগিং করেন আপনার আয় অনেক বেশি হবে, আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারবেন। আপনার মাথায় রাখতে হবে ভিজিটর বা ট্রাফিক যতো বেশি হবে আপনার আয় ততো বেশি হবে। যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর না থাকে তাহলে ইনকাম হবে না। মোট কথা আপনার ইনকাম হবে তখনি যখন আপনার সাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর আসবে। চলুন ব্লগিং ক্যারিয়ার নিয়ে সবকিছু আলোচনা করি। 



ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়পোষ্টসূচিঃ

ব্লগিং কি ?

ব্লগিং হলো ইন্টারনেটে লেখা প্রকাশ করার পদ্ধতি, যেখানে লেখক একটি ওয়েবসাইটে নিজের মতামত, জ্ঞান, অভিজ্ঞান, অভাবনা, বা বিভিন্ন বিষয়ে লেখা করে। এটি সাধারণভাবে ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয়, যাতে লেখক তার মতামত এবং জ্ঞান প্রকাশ করতে পারে এবং পাঠকরা এটি পড়তে পারে এবং মন্তব্য করতে পারে।

ব্লগ একটি প্রস্তুত ওয়েবসাইট হয় যেখানে ব্লগার বা লেখক নিজের মতামত, অভিজ্ঞান, অভাবনা বা বিভিন্ন বিষয়ে লেখা প্রকাশ করে। ব্লগের মাধ্যমে একজন লেখক সাধারিত পাঠকদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তাদের সাথে তার ধারণা, মতামত, জ্ঞান ভাগ করতে পারে।

একজন ব্লগার ব্যক্তিগত বা পেশাদার বিষয়ে লেখতে পারে, এবং তার ব্লগে ছবি, ভিডিও, অডিও, এবং অন্যান্য মাধ্যমে তার আবেগ প্রকাশ করতে পারে। অনেক ব্লগ মূলত পাঠকদের সাথে সাম্যভাবে আলোচনা করতে এবং তাদের মতামত ও প্রতিক্রিয়া প্রাপ্ত করতে একটি স্থান হিসেবে কাজ করে।

ব্লগিং একটি প্রবৃদ্ধি হিসেবে বড় হয়েছে এবং এটি বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে জ্ঞানগ্রহণ এবং বিনোদনের উপাদান হিসেবে পরিচিত।




ব্লগিং কত উপায়ে আয় করা যায়

ব্লগিং থেকে আয় করার উপায় বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি প্রধানভাবে ব্লগারের উদ্দীপনা, ব্লগের ধরণ, লেখা স্টাইল, বিষয় এবং তার পাঠকের কাছে মূল্যবান সেবা প্রদানের উপর নির্ভর করে। নিচে কিছু ব্লগিং ব্লগিং থেকে আয়ের উপায় দেখানো হলো

  1. এডসেন্স/এডভার্টাইজিং আয়

    • ব্লগে এডসেন্স প্রোগ্রাম বা অন্যান্য এডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানো এবং ক্লিক করলে আয় করা হয়। এটাই করে থাকে প্রায় সব ব্লগার।
  2. স্পন্সরশিপ এবং পার্টনারশিপ

    • বিভিন্ন কোম্পানিরা ব্লগারদের তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করতে স্পন্সরশিপ অথবা পার্টনারশিপ প্রদান করতে পারে। এভাবেই ব্লগাররা বেশি আয় করে থাকে।
  3. আফিলিয়েট মার্কেটিং

    • আফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে ব্লগার অন্যান্য পণ্যের জন্য প্রচার করতে এবং সে থেকে হোস্টিং, ই-কমার্স সাইট, বই, পণ্য ইত্যাদি বিক্রি করলে কমিশন পাবে। এটা অনেক জনপ্রিয় বেশি আয়ের মাধ্যম।
  4. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মাধ্যমে আয়

    • ব্লগার নিজেই ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারে, যেমন ইবুক, অনলাইন কোর্স, ওয়েবিনার, এবং সেগুলি বিক্রি করতে পারে।
  5. ফ্রিল্যান্সিং

    • ব্লগার নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে আধুনিক লেখা, ওয়েব ডিজাইন, অনুবাদ, এসইও সেবা ইত্যাদি দিয়ে আয় করতে।
  6. মেম্বারশিপ এবং সাবস্ক্রিপশন

    • ব্লগার স্বনিমিত্তভাবে উপাদানের জন্য পণ্য বা সেবা প্রদান করতে এবং এটির বিশেষ সুবিধা সংগ্রহ করতে চাইলে পাঠকদের জন্য মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন প্রদান করতে পারে।


ব্লগিং করে ক্যারিয়ার গড়া যাবে

হ্যাঁ, ব্লগিং করে একজন ব্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এটি আপনার যোগ্যতা, ধারণা, উদ্দীপনা, এবং কৌশলের উপর নির্ভর করবে।
  1. স্বাধীনতা এবং স্বয়ংনিয়ন

    • ব্লগিং একটি স্বাধীন ক্যারিয়ার পথ, যেখানে আপনি নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারেন। আপনি নিজেই আপনার ব্লগের ধারণা, সামগ্রিক দিক, এবং প্রকল্প নির্ধারণ করতে পারেন।
  2. প্রতিবাদ ও ভাবনা প্রকাশ

    • আপনি যদি কোনও নিরসনে ভাবনা এবং তার প্রতি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে ব্লগিং আপনার ভাবনা বা প্রতিবাদ প্রকাশের একটি অত্যন্ত ভাল উপায় হতে পারে।
  3. প্রস্তুতি এবং অধ্যয়ন

    • ব্লগিং সহজ হতে পারে না, কিন্তু এটি শেখা এবং উন্নত করা হতে পারে। আপনি নতুন কিছু শেখতে পারেন, এবং নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং আপনার পাঠকদেরকে নতুন তথ্য অনুভব করতে সাহায্য করতে পারেন।
  4. সামাজিক যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্কিং

    • আপনি ব্লগিং করতে থাকলে সামাজিক যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্কিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ব্লগের প্রচারে এবং আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নতুন অসুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
  5. আউডিয়েন্স নির্মাণ এবং দ্রুত প্রসার

    • ব্লগিং সম্ভাবনাময় হতে হলে একটি আদর্শ পাঠকের সাথে মিল বা তার জন্য একটি উপযোগী সমাধান প্রদান করা জরুরি। আপনি যদি আপনার পাঠকদের দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে আপনি একজন জনপ্রিয় ব্লগার হতে পারেন।

ব্লগিং করতে কি কি প্রয়োজন

ব্লগিং করতে প্রথমে নিজেকে একটি উদ্দীপনা দেওয়া ও একটি পরিকল্পনা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। তারপরে নিম্নলিখিত কিছু প্রধান প্রয়োজন হতে পারে এই

  1. ওয়েবসাইট বা ব্লগ প্ল্যাটফর্ম

    • একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে। আপনি এটি নিজেই হোস্ট করতে পারেন অথবা প্রস্তুত ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন, যেমন WordPress, Blogger, Medium ইত্যাদি।
    • আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে এবং একটি ডোমেইন কিনতে হবে ডোমেইন ছাড়াও ব্লগিং করা যায় তবে একটি ডোমেইন থাকলে ভালো।
  2. বিষয় নির্বাচন

    • আপনার ব্লগে কোন বিষয়ে লেখা হতে চান তা নির্বাচন করুন। আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী এবং জ্ঞানী, তা হলো আপনার ব্লগের প্রধান বিষয়।
  3. ক্যাপ্টিভেটিং ও মাধ্যম

    • আপনার লেখা ক্যাপ্টিভেটিং হতে হবে এবং পাঠকদের আকর্ষণ করতে হবে। সহজভাবে বুঝতে এবং উৎসাহ উৎপন্ন করতে ভিডিও, ছবি, অডিও ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
  4. লেখার ক্ষমতা

    • ভাষা সঠিক এবং অভিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা হতে হবে। পাঠকদের মাধ্যমে আপনার ধারণা সারাভূমি করার জন্য ভাষা সুন্দর এবং প্রভাবশালী হতে হবে।
  5. বিচারক দক্ষতা

    • লেখা শেখার জন্য এবং লেখা প্রকাশ করার আগে আপনার লেখা পরে তা বিচার করতে হবে। ভুল এবং ভুলগুলি কমিট করতে এবং আপনার লেখার গুণমান উন্নত করতে বিচারকের সাহায্য নিতে পারেন।
  6. সামাজিক মাধ্যম প্রচার

    • আপনি আপনার ব্লগের কন্টেন্টকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন, যাতে আপনি আপনার আউডিয়েন্স বাড়াতে পারেন এবং নতুন পাঠকদের আকর্ষণ করতে পারেন।


ব্লগিং এর ভবিষ্যৎ কি

ব্লগিং ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে বললে আমি বলবো এটি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম এবং এই তথ্য প্রযুক্তির  যুগে মানুষ কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে সর্বপ্রথম গগুলে চলে যান এবং গগুল থেকে জেনে নেন । এখানে মানুষ খুব সহজেই তার জানতে চাওয়া বিষয় গুলো সহজেই দেখতে পায় এবং তার প্রয়োজন মিটাই। সুতরাং দিন দিন বাড়ছে এই ব্লগিংয়ের চাহিদা তাহলে বলা যায় এটি ভবিষ্যৎ এ অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। আজকের এই যুগেও কিন্তু অনেক অনেক ব্লগার ব্লগিং করার জন্য এটি পছন্দ করে এবং প্রতি দিনিই এই পেশায় আসেন শত শত লোক । তবে সবাই কিন্তু সফল হই না । কারন এখারে প্ররিশ্রম করতে হয় এবং ধৈর্য ধরতে হয় যা অনেকেই পারে না আর এই জন্যই অনেকে ব্লগিং থেকে দুরে সরে যায়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url