আজান | বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের আজান | AJAN

আজান হল ইসলামিক সালাতের জন্য একটি সার্বজনীন আহবান, যা ইসলামী ভাষায় আসলে 'এজান' নামে পরিচিত। এটি মুসলিম সামুদায়ে সালাতের শুরুতে একটি প্রস্তুতি এবং আমলের সময়টি ঘোষণা করতে হয়। এই ঘোষণা করা হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি দিনের পাঁচ সময়ে যা হলো



  1. ফজরের সময় (সকালের নামাজের জন্য)
  2. ধুহুরের সময় (দুপুরের নামাজের জন্য)
  3. আসরের সময় (দুপুরের শেষের নামাজের জন্য)
  4. মাগরিবের সময় (সূর্যাস্তের পরের নামাজের জন্য)
  5. এশার সময় (রাতের নামাজের জন্য)

এই আজানগুলি ইসলামিক মসজিদ এবং অন্যান্য ইসলামিক স্থানেই শোনা যায়। আজানে সময়ের ঘোষণায় একজন মুয়াজ্জিন (ঘোষক) আয়ারাবি ভাষায় এটি ঘোষণা করে এবং সাম্প্রদায়িকভাবে এটি একটি ধার্মিক এবং সামাজিক ঘোষণা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।


 আজান আমাদের নামাজের জন্য ডাকে। আজানের অর্থ (أُذُن), যার অর্থ হলো "শোনা"। কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে আজান শব্দটি এসেছে। পারিভাষিক অর্থে, শরিয়ত নির্ধারিত আরবি বাক্যসমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতের আহবান করাকে আযান বলা হয়।

আমরা যারা মুসলিম তারা ভালো করেই জানি আজান কেন দেওয়া হয়। দৈনিক আজান ৫ বার দেওয়া হয় কারন নামাজ ৫ ওয়াক্ত। আমরা আজান শুনেই মসজিদে যাই নামাজ আদায় করতে। আজান আমাদের আল্লাহর কথা এবং আল্লাহর হুকুম নামাজের কথা শ্বরন করিয়ে দেই তাই আমরা আজান কে আমাদের ওয়াক্তের সাথে মিলিয়ে রেখেছি।

এই আজান আবার একেক দেশে একেক রকম হই আর সেটি হলো আজানের সুর বাংলাদেশে আজানের সুর একরকম আর সৌদি কিংবা অন্যান্য দেশে আজানের সুর অন্য রকম এইটা কোন সমস্যা নয়। কিন্ত ইহুদিদের আজান অথবা শিয়াদের আজান শুনলে আপনি অবাক হবেন।  চলুন আজ আমরা ইহুদি ও শিয়াদের আজান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

আজান কোথা থেকে শুরু হয়?


আজান শুরু হয় মুসলিম সামাজিক অথবা ধার্মিক ঘটনার কারণে, যা ইসলামিক সালাতের জন্য আহবান করে। আজানের শুরু হয় একজন স্পেসিফিক ব্যক্তি, যাকে মুয়াজ্জিন (ঘোষক) বলা হয়। আজানের ঘোষণা মুসলিম সামুদায়ের সালাতের সময় ঘোষণা করতে হয়। এই ঘোষণা ইসলামিক পথে একটি ধর্মীয় ও সামাজিক ঘটনা হিসেবে গণ্য হয়।

আজানের ঘোষণা করতে মুয়াজ্জিন সাধারিত আল্লাহর মহিমা, প্রফেত মুহাম্মদ (সা:) এর প্রতি আদর, সালাতের মহত্ত্ব, আকামত, এবং সালাতের শুরুর ঘটনা উল্লেখ করতে পারেন। বিভিন্ন সানাতনী মুসলিম সম্প্রদায়ে এটি ভিন্নভাবে হতে পারে, তবে মূলত আজান একটি ধার্মিক ও সামাজিক ঘটনা হিসেবে করা হয় এবং এটি সালাতের জন্য মুসলিমদেরকে উৎসাহিত করতে হয়।

সাধারিতভাবে, মুসলিম সমাজে আজান মুসলিম মসজিদ থেকে ঘোষণা হয়, যা মুয়াজ্জিন মসজিদের মিনার বা মাইনার নামক স্থান হতে পারে। মুয়াজ্জিন ইসলামিক শব্দ ও উচ্চ শব্দে আজান পড়ে এবং এটি সামাজিক ও ধার্মিক অবস্থানের সাথে জড়িত থাকে।

আজানের ফজিলত


আজান ইসলামিক ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধার্মিক আদর্শ এবং সালাতের শুরুতে একটি সাক্ষরিক ঘটনা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। আজানের ফজিলত বিভিন্ন ইসলামিক হাদিস ও কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে। একে অনেক ভিন্ন ফজিলত এবং গুনাগুণ দেওয়া হয়েছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ে বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে ও মসজিদে অধ্যাপন করা হয়ে থাকে।

  1. সালাতের প্রস্তুতির জন্য আহবান আজান মুসলিমদেরকে সালাতের প্রস্তুতির জন্য আহবান করে। এটি সালাতের শুরুতে একটি মহত্ত্বপূর্ণ ধার্মিক অংশ হিসেবে মন্না হয়েছে।

  2. ইমামের দিকে আহবান আজানের ঘোষণা দ্বারা ইমামের দিকে আহবান করা হয়, যা সালাতের সময়ে মুসলিমদেরকে ইমামের নেতৃত্বে সালাত আদায় করতে উৎসাহিত করে।

  3. আল্লাহর মহিমা ঘোষণা আজানের ঘোষণা একটি বিশেষভাবে লেবুর রসের মতো আছে এবং মুসলিমদের মাধ্যমে আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে।

  4. ইসলামিক একতা ও সম্প্রদায়ের জন্য আহবান আজান একটি ইসলামিক একতা ও সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে প্রশংসিত হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের সামাজিক একতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url