সুপ্রিয় পাঠক আজ আমরা আলোচনা করবো টিন সার্টিফিকেট এর সুবিদা ও অসুবিদা সম্বন্ধে । আমরা জানি টিন সার্টিফিকেট বাংলাদেশের একটি কর ব্যবস্থা । আপনি যদি আপনার আয়ের হিসাব দিতে চান সরকার কে তাহলে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে। টিন সার্টিফিকেট আমাদের অনেক প্রয়োজন শুধু তাই নয় কোন ব্যাবসা, বা অনলাইন কোন কিছু করতে গেলে যেমন- ব্যবসা বানিজ্য, এডসের জন্য ইত্যাদি প্রয়োজনে আমাদের টিন সার্টিফিকেট করতে হয় ।
আর্টিক্যাল সূচিপত্রঃ
পোষ্টসূচিঃবর্তমান বিশ্বে সবাই ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত তাই যদি কোন ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে ইনকাম করতে চাই তাহলে আমাদের টিন সার্টিফিকেট করতে হবে । এছাড়াও ইউটিউব মনিটাইজেশন সহ যেকোন ভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করে দেশের বাহির থেকে টাকা আনতে গেলে আমাদের টিন সার্টিফিকেট ছাড়া কোন ভাবেই হবে না তাই আমাদের বর্তমান বিশ্বে অন্তত বাংলাদেশের জন্য টিন সার্টিফিকেট বাধ্যতা মূলক । টিন সার্টিফিকেট সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য আছে যেগুলো আজ এই আর্টিক্যালের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।
আরো পড়ুনঃ রুপচর্চায় মধু এর উপকারিতা
টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা
টিন সার্টিফিকেটের বহু সুবিদা আছে আমরা মাত্র কিছু সুবিধার কথা আপনাদের জানাচ্ছি। টিন সার্টিফিকেট থাকলে আপনার আয়ের হিসাব সরকার রাখতে পারবে নই তো যে কোন সময় সরকার আপনার আয়ের রেফারেন্স দেখতে চাইতে পারে। শুধু তাই নয় প্রতি বছর ট্যক্স দিয়ে আপনার আয় সুরক্ষিত রাখবে। আপনি যদি দেশের বাহির থেকে ফ্রিলান্সিং করে আয় করে থাকেন এবং সেই টাকা দেশে নিয়ে আসেন ।
সরকার আপনাকে হিসাব দিতে বলবে না । আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট করেন তাহলে প্রতি বছর আপনার আয়ের উপর কর রিটার্ন জমা দিতে হবে আর এর মাধ্যমে সরকার আপনার আয় সংরক্ষিত রাখবে। টিন সার্টিফিকেট বাংলাদেশের একটি কর দেওয়ার মাধ্যমকে বুঝায়। এটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
টিন সার্টিফিকেট এর অনেক সুবিদা রয়েছে যা আপনি গ্রহন করতে পারেন। টিন সার্টিফিকেট করলে আপনি সরকারি আয়কর থেকে মুক্তি পাবেন । এবং এই টিন সার্টিফিকেট অনেক কাজে আমাদের প্রয়োজন । যদি আপনি বিকাশ এজেন্ট নিতে চান তাহলে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে নইতো বিকাশ আপনাকে এজেন্ট দিবে না । এছাড়াও যদি আপনি বাজারে দোকান দিতে চান বা কোন ব্যাবসা করতে চান তাহলে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে।
অনেকেই গগুল থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন, বা ব্লগ, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করে টাকা দেশে আনতে গেলে বা গগুল ভেরিফাই করতে গেলে আপনাকে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে। দেশের বাহির থেকে কোন সুবিধা পেতে গেলে ও আপনার টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে।
টিন সার্টিফিকেট মূলতো আয়কর হিসাব করে তা সরকারকে রিপোর্ট করাকে বুঝায় টিন সার্টিফিকেট আমাদের বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন তা হলোঃ
- এমাজন কেডিপি একাউন্ট করতে গেলে টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে গেলে টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
- ইউটিউব মনিটাইজ করতে গেলে টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
- ব্যবসা করতে গেলে টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
- কোন ইন্টারনেট ভিক্তিক অর্থ উপার্জন করতে হলে টিন সার্টিফিকেট করতে হবে।
টিন সার্টিফিকেট এর অসুবিধা
টিন সার্টিফিকেট এর যত সুবিধা আছে ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে । আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট করেন তাহলে আপনাকে প্রতি বছর ট্যাক্স দিতে হবে। ঘাবরানোর কিছু নাই আপনার যদি ট্যাক্স দেওয়ার মতো আয় না থাকে তবে আপনাকে জিরো রিটার্ন জমা দিতে হবে। এটা বাধ্যতা মূলক আপনার আয় থাক বা না থাক আপনাকে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতেই হবে।
আর যদি আপনি টিন সার্টিফিকেট করে ট্যাক্স রিটার্ন জমা না দেন তাহলে আপনার নামে মামলাও হতে পারে এবং জেল জরিমানাও হতে পারে। তাই আমি আপনাদের সাজেস্ট করবো আপনার যদি আয় থাকে তবেই আপনি টিন সার্টিফিকেট করুন নইতো শুধু শুধু টিন সার্টিফিকেট করে সমস্যা বাড়াবেন না। এতে আপনারই ভালো হবে আর যদি মনে করেন আপনার যথেষ্ট আয় রয়েছে তাহলে আপনি অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট করবেন তার কারন এতে অনেক সুবিধা রয়েছে যা উপরে আমি বলেছি।
আমি খুব শিঘ্রই টিন সার্টিফিকেট কিভাবে করবেন, কিভাবে ট্যক্স রিটার্ন জমা দিবেন, কিভাবে টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করবেন তা পরবর্তী কোন সময়ে এই সাইটে আপনাদের জানাবো। আজ আমরা শুধু আলোচনা করলাম টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যদি বুঝতে না পারেন কমেন্ট করুন ইনশাআল্লাহ আপনাদের আমি বুঝিয়ে দিবো। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url